ঠাকুরগাঁও
রাণীশংকৈলে জনসমুদ্রে শিমুল গাছে পানকৌড়ির মিলন মেলা
শিমুল গাছের স্বত্তাধিকারী যাদব রায় জানান, প্রায় বছর আটেক আগে অগ্রহায়ণ মাসের বিকেলে চার-পাঁচটি পানকৌড়ি পাখি এসে বসে। পরের দিন আরো কয়েকটি পাখি আসতে দেখা যায়। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে গাছটি পাখিতে ভরে যায়। পাখির এমন ভালবাসা পেয়ে গ্রামের মানুষ এদের আগলে রাখতে শুরু করে। গাছটিতে রাতের আশ্রয় শেষে আবার সকাল হলেই পাখিগুলো খাদ্যের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। কেউটান গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি মোঃ রইসউদ্দিন জানান, প্রতিদিন ২০০-৩০০ পানকৌড়ি পাখি এই শিমুল গাছে আসে। সে সময় তাদের কলকাকলিতে পুরো এলাকা মুখোরিত করে তোলে। দুর দুরান্ত থেকে অনেক মানুষ প্রতিনিয়তই আসে এদের দেখতে।
হোসেনগাও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুব আলম জানান, গ্রামের প্রতিটি মানুষ পাখি বান্ধব হয়ে উঠেছে। এরা কয়েকবার কয়েকজন পাখি শিকারীকে মারধর করেছে। পাখিগুলো সংরক্ষণের জন্য সবার সহযোগিতা পাচ্ছেন।
পরিবেশবীদ অধ্যক্ষ মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, পাখিরা নিজেরাই তাদের নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নিয়েছে। এখন আমাদের সবার দায়িত্ব এদের রক্ষা করা। এদের রক্ষা করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। রাণীশংকৈল উপজেলা পাখি বান্ধব’র মাইল ফলক হয়ে উঠুক এ প্রত্যাশা রাখেন সবার কাছে।