আন্তর্জাতিক
রেহাই পায়নি তরুণীর মৃতদেহও…
ঘটনা দু’একদিনের নয়। ২০১২ সালে ভুক্তভোগীদের পরিবার অভিযোগ করলে ডগলাস তিনটি মামলায় অভিযুক্ত হন। ২০০৮ সালে তার ডিএনএ পাওয়া যায় মৃত তরুণী কারেন রেঞ্জের শরীরে।
১৯৯২ সালে ১৯ বছর বয়সী এই তরুণী মারা যান। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি ৬ষ্ঠ বিভাগীয় আদালত একটি তদন্ত কমিটি করে দায়িত্ব দেন এই মর্মে যে, সাবেক ময়নাতদন্তকারী কেন অভিযুক্ত ডগলাসকে সঠিকভাবে তত্ত্বাবধায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে।
ডগলাসের স্ত্রী তার সাক্ষ্যতে বলেন, তার স্বামী বাড়ি ফিরলে তিনি মদ ও মিলনের নমুনা পেতেন। ১৯৮২ সালের আগস্ট মাসের কিছু আগের কথা। কারেন রেঞ্জের সঙ্গে ডেভিড যোসেফ স্টিফেন নামের এক বিক্রেতার পরিচয় হয়। স্টিফেন এই তরুণীর গলায় ছুরি মেরে হত্যা করে। পরের বছর স্টিফেনকে হত্যা ও ধর্ষণের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। হত্যার অভিযোগ মেনে নিলেও ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেন স্টিফেন।
আশ্চর্যের বিষয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তার ডিএনএ পাওয়া যায় না। ২০ বছর পরে যে ব্যক্তির সঙ্গে ডিএনএ মিলেছে তিনি মর্গ সহকারী কেনেথ ডগলাস। দীর্ঘ সময় ডগলাস মর্গ সহকারী হিসেবে কাজ করলেও হঠাৎ চাকরি ছেড়ে দেন। বর্তমানে তার বয়স ৫৫ বছর। এ বছর মার্চ মাসে ডগলাস মাদক পাচার করতে গিয়ে গ্রেফতার হন।