দেশজুড়ে
লক্ষীপুরে শিশু মামুন হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
লক্ষীপুর প্রতিনিধি: লক্ষীপুরের শিশু পরিবারের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র মামুন (৭) হত্যা মামলায় ৩জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ বুধবার (১৬ নভেম্বর) বেলা পৌনে ৩টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. একেএম আবুল কাশেম এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ব্রাহ্মনবাড়িয়ার বাসিন্দা ল²ীপুর শিশু পরিবারের খালা (আয়া) হামিদা বেগম, যশোরের বাসিন্দা কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল বাশার ও বরিশালের বাকেরগঞ্জের বাসিন্দা শিক্ষক সাইফুর রহমান। তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদন্ড। এবং হামিদা বেগম ও খায়রুল বাশারকে ২০১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আরও ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। এ মামলায় খালাস পেয়েছেন ভোলার বাসিন্দা দারোয়ান বাবুল হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি (পিপি) অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৮ জুন ল²ীপুর শিশু পরিবার থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র মো. মামুন (৭) নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের তিন দিন পর ২ জুলাই শিশু পরিবার সংলগ্ন সাহাপুরের একটি পুকুর পাড় থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় শিশু মামুনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় লক্ষীপুর সরকারি শিশু পরিবারের উপ-তত্ত¡বধায়ক মো. আব্দুল আজিজ মাহবুব বাদি হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় লক্ষীপুর শিশু পরিবারের আয়া হামিদা বেগম, কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল বাশার, শিক্ষক সাইফুর রহমান ও দারোয়ান বাবুল হোসেনকে আসামী করা হয়। স্বাক্ষ প্রমাণের ভিত্তিতে দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত ৩জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১জনকে খালাসের রায় দেন।
নিহত শিশু মামুন চাঁদপুর জেলার মধ্য ইছুলীর নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা মৃত আকতার মিয়ার ছেলে।