Connect with us

দেশজুড়ে

লক্ষ্মীপুরে অপহরণের ৯দিন পর মায়ের বুকে শিশু মরিয়ম

Published

on

Lokshmipurরুবেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে অপহৃত আড়াই মাস বয়সের শিশু মরিয়মকে নয় দিন পর কুমিল্লা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অপহরণকারী মাহিনুর আক্তার ওরফে রুমিকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার দক্ষিন প্রতাপপুর গ্রাম থেকে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ শিশুকে উদ্ধার ও অপহরনকারী নারীকে আটক করে। আটক ওই নারী লক্ষ্মীপুরের কমলনগর তোরাবগঞ্জ গ্রামের নোমানের স্ত্রী।
পুলিশ ও শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার গন্ধব্যপুর গ্রামের দিনমজুর ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী রহিমা বেগম সম্প্রতি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে সেখানে মাহিনুর আক্তারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওইসময় মাহিনুর নিজের পরিচয় গোপন রেখে নিজের নাম রুমি ও বাড়ি সদর উপজেলার দালালবাজার এলাকায় বলে পরিচয় দেয়। একপর্যায়ে রহিমাকে বোন ডেকে কৌশলে সখ্যতা গড়ে তোলে।
গত ১৯ জুন রোববার বিকেলে মাহিনুর গন্ধব্যপুর গ্রামে রহিমার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরদিন সোমবার সকাল ১১ টার দিকে রহিমার বড় মেয়ে পলি আক্তার (১০) ও ২ মাস ১৮ দিন বয়সি মরিয়মকে নতুন জামা কিনে দেয়ার কথা বলে তাদের নিয়ে মান্দারী বাজার যায়। এক পর্যায়ে মান্দারী বাজারের মধ্য গলির একটি দোকান থেকে পলিকে রেখে কৌশলে শিশু মরিয়মকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরদিন সোমবার বিকেলে শিশুর বাবা ইব্রাহিম খলিল চন্দ্রগঞ্জ থানায় জিডি করেন। পরে মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরনকারীর অবস্থান শনাক্ত করে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চন্দ্রগঞ্জ থানার এসআই পুষ্প রঞ্জন চাকমা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার ও অপহরনকারী নারীকে আটক করে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি একেএম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপহরনকারী নারী শারিরিকভাবে অসুস্থ থাকায় অপহরনের কারন ও শিশু চোর সিন্ডিকেট সর্ম্পকে এখনো কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। অপহরনকারীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুস্থ হলে জিঙ্গাসাবাদ করা হবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *