দেশজুড়ে
লক্ষ্মীপুরে গৃহবধুকে অস্ত্রেরমুখে তুলে নিয়ে গণধর্ষন
এজহারে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে ওই গৃহবধু (২২) তার ভাই রকি ও বন্ধু আবদুর রাজ্জাককে নিয়ে তিতার কান্দি গ্রামের ওমান প্রবাসী খালুর বাড়িতে আসেন। রাতে তারা খাবার খেয়ে খালার বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১টার দিকে একই গ্রামের ফাহাদের নেতৃত্বে আদনান, রোকন, পিয়াস ও হৃদয়সহ ৮ থেকে ১০জন খালার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে। এসময় তারা আলমীরার তালা ভেঙ্গে নগদ ২৪ হাজার ৪০০ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন সেট লুটে নেয়। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে ঘরে ভাঙচুর চালানো হয়।
একপর্যায়ে ওই গৃহবধু তার ভাই রকি ও বন্ধু আবদুর রাজ্জাককে অস্ত্রেরমুখে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে হৃদয়ের বাড়িতে রকি ও আবদুর রাজ্জাককে বেদম মারধর করে আটকে রেখে, বাড়ির ছাদে নিয়ে ওই গৃহবধুকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষন করে তারা। পরদিন বুধবার তার খালার কাছ থেকে ২৫হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে সকাল ১০টার দিকে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় আদনান নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে।
সদর হাসপাতালের আরএমও আনোয়ার হোসেন জানান, কয়েকজন যুবক পালাক্রমে ধর্ষনের বিষয়টি ভুক্তভোগী তাকে জানিয়েছেন। তবে তিনি ডাক্তারী পরীক্ষা (শারিরিক ও গোপন অঙ্গ) করাতে রাজী হননি। ভিকটিম মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন জানান, এ ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ঘটনার সত্যতা পেলে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, গণধর্ষনের ঘটনায় এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।