দেশজুড়ে
লালমনিরহাট হাতীবান্ধায় ঐতিহ্য বাহী শালবাগানে ন্যাশনাল পার্কের নির্মান কাজ এগিয়ে চলছে
লালমনিরহাটটের হাতীবান্ধা উপজেলার ঐতিহ্য পূর্ব নওদাবাস এলাকা জুড়ে দাড়িয়ে আছে ৮৩ একর জমির উপরে প্রাকৃতিক সৃষ্টি ঐতিহ্য বাহী শালবাগানটি। এলকাবাসীর প্রানের দাবী পর্যটন কেন্দ্রের কারুকার্য নির্মানাধীন রয়েছে। এলকাবাসী প্রচলিত সূত্রে জানা গেছে প্রায় ৫ শত বৎসর পূর্বে ব্যক্তি মালিকানা জমিতে স্বল্প পরিসরে বাগানটি প্রকৃতিক সৃষ্টি হয়। এ বাগানটি পরবর্তীতে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকলে ১৮৫০ ইং সালে বাগানটি সরকারের কাছে মালিকানাধীন দাবী হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে সরকারী ভাবে পরিচর্যা ও রক্ষনা বেক্ষণ করা হলে পর্যায় ক্রমে বাগান বৃদ্ধি পেয়ে সম্প্রসারিত হয়ে এখন ৮২.৬২ একর জমিতে দাড়িয়েছে। একই সাথে সুন্দর্য বৃদ্ধি পেতে থাকলে উপজেলার একটি গৌরবাজ্জল ঐতিহ্যে পরিনত হয়েছে। যাহা দেখার জন্য বনভোজনে নিত্য দিনে দেশের বিভিন্ন এলকা থেকে আসা শত শত মানুষ জনের ভির জমে উঠে। এমনিই অবস্থায় এলকাবাসীর প্রানের দাবী বাগানটিতে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। এমনি অবস্থায় দীর্ঘ সময় প্রক্রিয়াধীন থাকার পর বর্তমান সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এমপি’র প্রচেষ্টায় সম্প্রতি পর্যটন কেন্দ্রের কারুকার্য নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান এ সরকারামলে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। হাতীবান্ধা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সোহাগ সরেজমিনে ন্যাশনাল পার্ক নির্মাণ কাজের খোজ খবর নিচ্ছেন। উল্লেখ্য বাগানে শুধু শাল গাছই নয় এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন শোভাবর্ধনকারী, ফল, ফুল, পশু মিশ্র খাবার, বিরল ও বিপন্ন প্রজাতীর বেত গাছ ছাড়াও রয়েছে গোলঘর, দোলনা, সিøপার, ঢেকি ও পর্যটন কারুকার্য। নির্মাণ সম্পন্ন হলে যেমন সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। তেমনি এলাকার গৌরাবাজ্জল স্মৃতিকে দেশ-বিদেশে বিনোদনে প্রসারিত করবে।