দেশজুড়ে
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, পটুয়াখালী:
জাতীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার পরিবেশ এবং জলবায়ুর প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কিন্তু কিছু প্রভাবশালী অসাধু ব্যবসায়ীরা সরকারি বিধি-বিধানের তোয়াক্কা না করে পরিবেশ দূষণ করে চলেছে।
গলাচিপা উপজেলার বকুল বাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এই ইট ভাটাটি তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ইট ভাটার ঠিক দক্ষিণ দিকে ১০০-১৫০ ফুট দূরত্বে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যার নাম হাজী শামসুদ্দিন মোল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেখানে ছোট ছোট কোমলময়ী শিশুরা লেখাপড়া করে। যে বিদ্যালয়ে পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে শিক্ষকরা লেখাপড়া শেখায়। সেই বিদ্যালয়ের প্রায় গা ঘেষে ইটের ভাটাটি যার দূষিত ধোয়া স্কুলের প্রায় প্রতিটি কক্ষেই প্রবেশ করে। যার ফলে শিশুদের নানান ধরনের অসুস্থতার সৃষ্টি করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক টন কাঠ মজুদ রাখা আছে। ইটভাটার শ্রমিকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, প্রতিদিন তারা ২৫০-৩০০ মণ কাঠ পোড়ায়। যার দূষিত বায়ু পরিবেশকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে ভাটা মালিকের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই ইটভাটার ব্যবসা অবৈধভাবেই করছে, আমি করলে দোষ কোথায়?