ঝিনাইদহ
গৃহবধুকে ধর্ষণের পর হত্যা, সড়ক দুর্ঘটনা বলে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপার কেষ্টপুর গ্রামের মাসুদ রানার স্ত্রী এবং বড়দাহ গ্রামের আজিজ এর মেয়ে রোজিনা ২ সন্তানের জননী। তার স্বামী মাসুদ রানা দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন। গত ৩ বছর যাবৎ রজিনা ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া করার জন্য বাবার বাড়ী বড়দাহ থাকতেন। তার ছেলে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে ৬ষ্ট শ্রেণিতে উঠেছে আর মেয়ের বয়স ৪ বছর।বুধবার রাতে তারাবির নামাজের সময় রোজিনাকে বাড়ীতে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ীর আশে পাশের মাঠ পানবরজ সহ কয়েকটি জায়গায় খোজাখুজির পর রাত ১০টার দিকে মহাসড়কে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। তবে লাশ দেখে তাদের সন্দেহ হয় রোজিনাকে নির্জন স্থানে বা পান বরজে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে মহাসড়কে।
রোজিনার পিতা আব্দুল আজিজ জানান, তার মেয়ের লাশ খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের রাস্তায় ছিল, তবে সেখানে কোন রক্ত না থাকায় তার সন্দেহ বাইরে থেকে তার উপর শারিরীক নির্যাতন, ধর্ষন ও হত্যা করে মহাসড়কে ফেলে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা চলছে। তিনি সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবি করছেন।
স্বজন ও এলাকাবাসীরও অভিযোগ তাকে ধর্ষন করেছে একটি দূর্বৃত্ত চক্র ও প্রভাবশালী মহল। এরপর ঘটনার ধামাচাপা দিতে রাস্তায় লাশ ফেলে সড়ক দূর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা শৈলকুপা থানার এসআই কামাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে মহাসড়কের রাস্তা থেকে গৃহবধু রোজিনার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধু রোজিনা কে ধর্ষন ও হত্যা করা হয়েছে কিনা তা তদন্ত রির্পোট আসার পর জানা যাবে।