সারা দেশে একের পর এক শিশু নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে দোষীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মাগুরার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ নাজমা বেগম ও তার ১৩ দিনের মেয়ে সুরাইয়াকে দেখতে এসে এরশাদ সাংবাদিকদের বলেন, “কত বর্বর মানুষ হতে পারে দেখে অবাক হয়ে যাই। মায়ের পেটে শিশু গুলিবিদ্ধ.. এটা কীভাবে সম্ভব! এই ঘটনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া উচিত।”
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২৩ জুলাই বিকালে মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়ায় সাবেক ছাত্রলীগকর্মী কামরুল ভূইয়ার সঙ্গে সাবেক যুবলীগকর্মী মহম্মদ আলী ও আজিবরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।
এসময় কামরুলের বড় ভাই বাচ্চু ভূঁইয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০) ও প্রতিবেশী মিরাজ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন, নিহত হন কামরুলের চাচা আব্দুল মোমিন ভূঁইয়া।
এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ওই রাতেই মাগুরায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নাজমার গুলিবিদ্ধ শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। দুদিন পর তাকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। বর্তমানে মা ও শিশু – দুজনেই ঝুঁকিমুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এরশাদ বলেন, “এতো গেল একটা ঘটনা; পত্রপত্রিকা খুললেই শিশু নির্যাতনের খবর দেখা যায়। গত তিন বছরে সারা দেশে ৭৬৭টি শিশু মারা গেছে। কেন এসব হচ্ছে? কারণ- যারা করছে তারা জানে তাদের গায়ে কেউ হাত দিতে পারবে না। আমার আবেদন- এদের কঠোর শাস্তি দিন, ফাঁসি দিন, দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিন।”
‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি’ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে মেজর জেনারেল এম এ মঞ্জুর হত্যা মামলার আসামি সাবেক সেনা শাসক এরশাদ বলেন, “কারা এসব করছে তা আমরা জানি। যদি সুবিচার হত, তাহলে এর প্রকোপ অনেক কমে যেত। তবে আমার মনে হয় না এরকম (সুবিচার) কিছু হবে।”
এই বিচারহীনতার জন্য দায়ী কে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ বলেন, “বিচারহীনতার জন্য দায়ী সমাজ। এই সমাজ এ রকম ছিল না। আমরা কখনো নিষ্ঠুর ছিলাম না। সমাজে পরিবর্তন দরকার। এই পরিবর্তন আনতে পারে জাতীয় পার্টি।”
জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এ সময় এরশাদের সঙ্গে ছিলেন।
বিপি/এডিপি/এ