দেশজুড়ে
সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে শ্রীনগরে মানববন্ধন
শ্রীনগর প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিব রহমানের পরিচালনায় ও শ্রীনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আওলাদ হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধ ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিক্রমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মাসুদ খান, সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইদুর রহমান টুটুল, সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি কে. এন. ইসলাম বাবুল, দৈনিক যুগান্তরের সিরাজদিখান প্রতিনিধি সুব্রত দাস রনক, শ্রীনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর লেখক ফোরামের সভাপতি ইকবাল হোছাইন ইকু, শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. তোফাজ্জল হোসেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি শ্রীনগর উপজেলার সম্পাদক সমর দত্ত প্রমুখ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেসে সহ মর্মিতা প্রকাশ করেন মুন্সিগঞ্জ-১ শ্রীনগর-সিরাজদিখানের সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ, মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাব, টঙ্গিবাড়ি প্রেসক্লাব, গজাড়িয়া প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ শিক্ষক ও কর্মচারি ঐক্যযোটের মহা সচিব মো. জাহাঙ্গির খান প্রমুখ। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে শ্রীনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি আওলাদ হোসেন বলেন, সোনার বাংলায় সাংবাদিকদের উপর কেন এই সন্ত্রাসী হামলা। ২ জন সাংবাদিকের উপর এসব মাদকদব্র ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের এই নেক্কারজনক হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. তোফাজ্জল হোসেন আহত সাংবাদিকদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে বলেন, আমি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা সাংবাদিকদের পক্ষে আছি। তিনি আরও বলেন আমি দুইবার হাসপাতালে আহত সাংবাদিকদের দেখতে গিয়েছি যাতে তাদের চিকিৎসার কোন ত্রুটি না হয়। আমি ঘটনা তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
শ্রীনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ হোসেন মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচীতের যেসকল সাংবাদিক ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন আমরা সমগ্র বাংলাদেশের সাংবাদিক এই হামলার জবাব চাই। তিনি আরও বলেন, ঢাকার মলম পার্টির সক্রিয় সদস্য ও শ্রীনগর উপজেলা যুবলীগের জুয়েল লস্করের নেতৃত্বে এই হামলা সংগঠিত হয়। যুবলীগের ব্যানার ব্যবহার করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে এই দুষ্কৃতকারী। তিনি বলেন, ঘটনার দিন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে অথচ আহত হল সাংবাদিক। এতে বুঝা যায় সাংবাদিকদের উপর হামলা ছিল পরিকল্পিত। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হব। তিনি কর্মসূচী ঘোষণা করে সমাবেশের সমাপ্তি করেন।