ঢাকা বিভাগ
সালথায় দুই আ’লীগ নেতার উপর হামলা
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য আঃ রব মোল্যা এবং আটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান মৃধার উপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষ। শুক্রবার সকালে উপজেলা কুমারকান্দা ও পুটিয়া গ্রামে পৃথকভাবে এ ঘটনা দুটি ঘটে।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান মৃধা (৫০) মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার সময় একই গ্রামের ঈমানদ্দিন মৌলভীর ছেলে মোস্তাক ও সাফায়েত সাফি পিছন থেকে অতর্কিত হামলা চালায়। লোকমান মৃধা অভিযোগ করে বলেন, ২১ ফেব্র“য়ারীর দিন পুটিয়া বাজারের জাতীয় পতাকা উত্তোলণ করার নির্দেশ দিলে কিছু দোকানদার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবে না বলে আমার উপর ক্ষীপ্ত হয়ে পড়ে। এরই সুত্রধরে খশবু মোল্যার নেতৃত্বে কয়েকজন লোক আমার উপর হামলা করে। এঘটনার পর আমি সালথা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সাফায়েত ইসলাম সাফিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এসপির নির্দেশে রাতে সালথা থানা পুলিশ সাফিকে ছেড়ে দেয়। এবিষয়ে অভিযুক্ত খশবু মোল্যা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার কোন লোক লোকমান মৃধার উপর হামলা করে নাই।
এদিকে একই দিনে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের কুমারকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জমি নিয়ে সকাল ১০ টায় একটি সালিশ বৈঠক বসে। এই সালিশ বৈঠকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য আঃ রব মোল্যা সত্য কথা বলার জন্য জামু ফকির, লিয়াকত ফকির ও ওবায়দুর ফকির সহ ৮/১০ জন তার উপর হামলা চালায়। এতে রব মোল্যা সহ ৫ জন আহত হয়। এঘটনার পর স্থানীয়রা ক্ষীপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষের উপর পাল্টা আক্রমন চালায়। এতে জামু, আলী, মিজানুর, ওবায়দুর, আছাবুল ও কামরুল সহ ৭জন আহত হয়। আহতদের ফরিদপুর সদর ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম আমিনুল হক বলেন, লোকমান মৃধার উপর হুমকির ঘটনায় একজনকে থানা আনা হয়েছিলো, পরে এসপি স্যারের নির্দেশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে রব মোল্যার উপর হামলার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি । এবিষয়ে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।