Connect with us

Highlights

সোনাইমুড়িতে জোড়া খুনের আসামিদের বিচারের দাবিতে জয়পুরহাটে সংবাদ সম্মেলন

Published

on

আবু রায়হান, জয়পুরহাটঃ
২০১৬ সনের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জয়পুরহাট জেলা হেযবুত তওহীদ। রবিবার দুপুরে জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্যে ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জয়পুরহাট জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মোঃ আবু রায়হান বলেন, ধর্মব্যবসায়ীরা হেযবুত তওহীদকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে তার কারণ হেযবুত তওহীদ এদেশে ধর্মের দোহাই দিয়ে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদসহ ধর্মের নামে প্রচলিত প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজেদের জীবন-সম্পদ উৎসর্গ করে আদর্শিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। হেযবুত তওহীদের এই সত্য তুলে ধরার দরুন ধর্মব্যবসায়ীদের মুখোশ খুলে যাচ্ছে, জনসাধারণের উপর থেকে তাদের প্রভাব হারিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তিন বছর আগে সোনাইমুড়িতে স্থানীয় দাঙ্গা সৃষ্টিকারী আলেমরা নিকটবর্তী এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে তাদের ছাত্রদেরকে নিয়ে হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমামের বাড়িতে আক্রমণ করে। ধর্মব্যবসায়ীরা প্রোপাগান্ডা চালায় যে, ‘হেযবুত তওহীদ খ্রিষ্টান, তারা গির্জা নির্মাণ করছে’। তারা সকাল থেকে স্থানীয় কয়েকটি মসজিদের মাইকে বলতে থাকে যে, ‘গির্জা ভাঙ্গো খ্রিস্টান মারো।’ তাদের উসকানিতে স্থানীয় জামায়াত, শিবির, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সন্ত্রাসীরাসহ মাদ্রাসার উন্মত্ত ছাত্র-শিক্ষকগণ নির্মাণাধীন মসজিদটিকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। উপস্থিত হেযবুত তওহীদের প্রত্যেকে মারাত্মকভাবে আহত করে। সন্ত্রাসীরা মো. সোলায়মান খোকন ও ইব্রাহীম রুবেল নামে হেযবুত তওহীদের দুজন সদস্যকে জবাই করে, চোখ উপড়ে, হাত পায়ের রগ কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে। এক পর্যায়ে পেট্রল ঢেলে লাশের গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। যখন পুলিশ আহত অবরুদ্ধ মরণাপন্ন হেযবুত তওহীদের কর্মীদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িতে তোলে তখন তাদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হত্যা করার জন্য গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ ও বিডিআর বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীরা হামলা চালাতে থাকে।

হেযবুত তওহীদের অভিযোগ, এই ঘটনায় তারা আক্রান্ত হলেও আক্রমণকারীদের সাথে তাদেরকেও মামলার আসামি করেছে পুলিশ। হামলাকারীদের মধ্যে অনেকেই প্রকাশ্যে দাপটের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকলেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না। এই সন্ত্রাসীরা আবারও হামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে সোনাইমুড়ী হত্যাকাÐের সাথে জড়িত সমস্ত সন্ত্রাসীদেরকে দ্রæত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি করা হয়। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা হেযবুত তওহীদের সাংগঠনিক সম্পাদক টিটু আহম্মেদ, রাজনৈতিক যোগাযোগ সম্পাদক আল-মাসুদ রুবের সদস্য মামুনুর রশিদ মামুন ও ফরিদ শেখসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *