দেশজুড়ে
হাতীবান্ধায় বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের ঘটনায় ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলন
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ১৭ মার্চ রাতে উপজেলার পশ্চিম কাদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। এসময় শিশু শিক্ষার্থীদের ভেপু বাজানো নিয়ে স্থানীয় আব্দুল করিমের ছেলে ওমর ও আলী হোসেন, নজরুল ইসলামের ছেলে সোহান, বকতিয়ারের শেক্কু, নাজমুলের ছেলে গফুর, নজরুলের ছেলে সজিব, বগা শেখের ছেলে দুলালের সাথে স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রথমে বাকবিতন্ড হয়। একপর্যায়ে ওই ঘটনার জের ধরে অভিযুক্তরা মঞ্চে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিঁড়ে ভাংচুর চালালে অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যায়। এনিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ভেলাগুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন, স্কুল সভাপতি ও আ‘লীগ নেতা ফিরোজ হোসেন জিহাদ বাবু ঘটনাটি আপোষ মিমাংসা করেন। পরে খবর পেয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিহান ও সা. সম্পাদক পারভেজ ঘটনাস্থল পরিদর্শণে যায়। সেখানে স্থানীয়দের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননাসহ মঞ্চ ভাংচুরের সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে প্রতিবাদ মিছিল করে ইউনিয়ন ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে গত বুধবার উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার জিহান এনিয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু চার দিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে থানা পুলিশ ওই অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেনি।
রোববার বিকেলে ছাত্রলীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলণে সংগঠনের নেতারা দাবি করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরকারীরা স্থানীয় জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের কাছে প্রায় চার লাখ টাকা নিয়ে স্থানীয় নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান ঘটনাটি রফাদফা করেছে। সেকারণে থানা পুলিশও মামলাটি নথিভুক্ত করছে না বলে দাবি ছাত্রলীগ নেতাদের। এক প্রশ্নে জবাবে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জিহান বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরকারীদের বিচার চাইছি বলেই ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমাদের নামে মামলা করার হুমকি দিচ্ছেন। তবে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ছাত্রলীগের দেয়া মামলা নথিভুক্ত করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন ছাত্রলীগ সভাপতি জিহান।
ঘটনার দিন বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের বিষয়টি স্বীকার করে পশ্চিম কাদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান আলী বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও স্কুল কমিটির সভাপতির পরামর্শে ঘটনাটি মিমাংসা করা হয়েছে।
ভেলাগৃুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন বলেন, মেম্বার চেয়ারম্যানরা টাকার বিনিময়ে কোন ঘটনা মিমাংসা করেন না। ছাত্রলীগ ঘটনাটিকে যেভাবে বলছে তা পুরোপুরি ঠিক না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি তদন্ত) সুমন কুমার মোহন্ত বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা হয়েছে বলে ছাত্রলীগ সভাপতির দেয়া মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়নি।