দেশজুড়ে
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক সংস্কারে ধীর গতি, যাত্রীদুর্ভোগ চরমে
দেবিদ্বার প্রতিনিধি, কুমিল্লা:
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কংশনগর থেকে কোম্পানীগঞ্জ পর্যন্ত ১২ কি. মি. খানাখন্দ সড়ক দিয়ে ৪ বছর যাবৎ অনেকটা নিরুপায় হয়েই প্রতিদিন চলাচল করে আসছিল কয়েক লক্ষাধিক যাত্রী। অবশেষে এ সড়কের ১২ কি. মি. খানাখন্দ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। দীর্ঘ ৪ বছরের চরম ভোগান্তি অচিরেই শেষ হয়ে যাবে এমনি প্রত্যাশা ছিলো সড়কে চলাচলকারীদের। কিন্তু এ সড়ক সংস্কার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের ধীর গতি দেখে প্রতিনিয়তই আশাহত হচ্ছে ভুক্তভোগীরা।
কুমিল্লা সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বছরের শুরুতে ১১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ের এ সংস্কার কাজটি টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঢাকাস্থ ও,পি,বি,এল নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়। চলতি বছরের ১০ ফেব্র“য়ারি থেকে ও,পি,বি,এল নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি শুরু করে দীর্ঘ ২ মাসেও দৃশ্যমান তেমন কিছু দেখাতে পারে নি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি মাঝে মধ্যে খুড়িয়ে খুড়িয়ে একটু একটু খুড়াখুড়ির কাজ করলেও কাজের অগ্রগতি কিংবা আশানুরূপ কিছুই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেছেন কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলকারীরা। ও,পি,বি,এল শুরুতেই বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এনে সড়কের কংশনগর থেকে জাফরগঞ্জ পর্যন্ত খুড়াখুড়ি করে কিন্তু ২ মাস প্রায় অতিবাহিত হলেও কাজের গতি তেমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। খুড়িখুড়ির কারণে বিভিন্ন স্থানে সড়কে গর্ত থাকায় প্রায়ই যাত্রীবাহী বাসসহ নানা পণ্য সরবরাহকারী ট্রাক প্রতিনিয়তই বিকল হয়ে যানজটের সৃষ্টি করছে। আর এতে করে সড়কে চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীদের চরমভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া খুড়াখুড়িতে সৃষ্ট ধূলাবালি মাটি বাতাসের সাথে মিশে আশপাশের বাড়ি-ঘরসহ যাত্রী সাধারণের চরম অসুবিধা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনদুর্ভোগ ও এলাকাবাসীর অসুবিধা কিংবা সমস্যাকে কোন প্রকার আমলে নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ এমনি অভিযোগ এলাকাবাসীর। নিজেদের ইচ্ছে মতোই ধীর গতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ও,পি,বি,এল নামের ঠিকাদারী এ প্রতিষ্ঠানটি।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন, আমি প্রতিনিয়তই এ সড়কের সংস্কার কাজের দিকে লক্ষ্য রাখছি আগামী জুন মাসের মধ্যে এ সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করে জনসাধারণের জন্য চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হবে।