নড়াইলে ”কনজারভেশন এগ্রিকালচার”র উপর কৃষক প্রশিক্ষণ
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল: দক্ষিণঞ্চল কৃষিতে নতুন মাত্রা সংরক্ষণশীল কৃষি (কনজারভেশন এগ্রিকালচার) এর উপর নড়াইলে কৃষকদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছ। নড়াইল সদর ঊপজেলার মাইজপাড়া গ্রামে ২০ জন অগ্রবর্তী কৃষক ও কৃষাণী নিয়ে কৃষির নতুন ধারা সংরক্ষণশীল কৃষি (কনজারভেশন এগ্রিকালচার) এর উপর কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার ঊক্ত প্রশিক্ষণে প্রধান আলোচক ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নড়াইলের উপপরিচালক কৃষিবিদ শেখ আমিনুল হক এবং আন্তর্জাতিক ভূট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট) এর মেশিনারী ডেভেলপমেন্ট অফিসার, ইঞ্জিনিয়ার সুবল চন্দ্র মন্ডল।
প্রশিক্ষনার্থী কৃষাণী হোসনে আরা প্রদর্শণী জমি দেখে বলেন, তার জমি সিডার মেশিনের মাধ্যমে চাষের সময় তিনি ও তার আশেপাশের কৃষক কিছুটা সংশয়ে ছিলেন। তবে এখন তিনি ফসল দেখে ও প্রশিক্ষণ পেয়ে খুবই খুশি এবং আগামীতে এই পদ্ধতিতে চাষ বাড়াবেন।
প্রধান অতিথি কৃষিবিদ শেখ আমিনুল হক বলেন, এই কৃষি আপনাকে শ্রমিক, সময়, পানি এবং টাকা সাশ্রয় করতে সাহায্য করবে, আগাম ফসলের চাষ ও ভালো ফলন দিবে এবং বাড়তি আয় করতে সাহায্য করবে, যেখানে কৃষকের উŤপ্দন খরচ ৬০% কমে যাবে। এছাড়াও এই পদ্ধতিতে গম ও ভূট্টা চাষের উপর ব্যপক আলোচনা করেন।
অত্র প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার সুবল চন্দ্র মন্ডল।বলেন, সংরক্ষণশীল কৃষির জন্য পূর্ববর্তী ফসল সংগ্রহের সময় জমিতে ৮-১০ ইঞ্চি নাড়া রেখে পাওয়ার টিলারের সাথে ষ্ট্রিপ টিলার বা সিডার সংযুক্ত করে একই সাথে সরু লাইনে জমি চাষ ও বীজ বপন করা যায়। এর ফলে জমিতে জৈব পদার্থ যোগ হয়, মাটির পানি ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং লবনাক্ততা কমে। এই পদ্ধতিতে ধান, গম, ভূট্টা, ডাল শস্য এমনকি পাটও চাষ করা যায় এবং ফলন ও ১৫% বৃদ্ধি পায়। এই চাষ পদ্ধতিতে কম খরচে ও কম সময়ে মাটির স্বাস্থ্যরক্ষা ও উর্বরতা বৃদ্ধিসহ লাভজনকভাবে ফসল উৎপাদিত হয়।
প্রশিক্ষণটি ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে সিসা-এমআই প্রকল্প, আন্তর্জাতিক ভূট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট), যশোর হাব এর আয়োজনে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করছে।