Connect with us

ঢাকা বিভাগ

আগাম ফুট (বাঙ্গী) চাষে লাভবান রাজৈরের চাষীরা

Published

on

মোঃ ইব্রাহীম , রাজৈর , মাদারীপুর ॥
মাদারীপুর থেকে ১৬ কিঃ মিঃ দূরে অবস্থিত রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের সুতার কান্দি গ্রামে প্রায় ৫০ একর জমিতে ফুট (বাঙ্গী) চাষীরা উচ্চ ফলন ফলিয়ে লাভবান হবার আশা করছে। এখানকার চাষীরা কার্তিক মাস থেকে ফুট বীজ রোপন করা শুরু করে। ফল ধরতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ মাস। ৪ মাস পর ফাল্গুনের শুরুতে ফুট তোলা শুরু হয় ।
চাষী মোঃ ইব্রাহীমের সাথে কথা বলে জানা গেল, এখানে প্রতি বিঘা জমিতে তাদের খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভ হয়ে থাকে । এ জন্য জমিতে ভালো ফলন ফলাতে তিন বার পানি, ডি আই বি সার ,টি এস পি,পটাস সার, পোকা-মাকর মারার জন্য কীটনাশক ব্যাবহার করা হয়।
উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের সুতারকান্দি গ্রামের এসকেন বেপাড়ী ও তার ছেলে সুরুজ্জামানের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগের তুলনায় এবছর ফুটের ফলন অনেক ভালো এবং আকারে বড় হয়েছে। আশা করি এবছর দাম তুলনামূলক বেশি পাব ।
চাষী কামাল ফকির ও বজলু হাওলাদার বলে আমাদের এখানে প্রতিদিন ১০০ শ্রমিক কাজ করে। শ্রমিকরা যে টাকা আয় করে তা দিয়ে তাদের পরিবার ও ছেলে- মেয়ে স্কুলে লেখা-পড়া চালায়।

এলাকার কৃষক শাহাদাতের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জমি থেকে ফুট (বাঙ্গী) নিয়ে তারা মাথায় করে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কামালদি ব্রীজ সংলগ্ন দক্ষিন পাশে কিছু দোকানের পাশে ছোট একটা মাঠে নিয়ে রাখে । কখনো মহাসড়কের পাশে ঝাকায় সাজিয়ে বিক্রি করে ।

তিনি আরও জানান, প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা এখানে ফুট (বাঙ্গী) কিনতে আসেন । আমরা তাদের কাছে পাইকারি বিক্রি করি । ক্রেতারা আমাদের এই ফুট (বাঙ্গী) বিভিন্ন স্থানে নিয়ে খুচরা বিক্রি করে ।
টেকেরহাটের ক্রেতা খোকন শেখ বলেন প্রতিদিন সকালে আমরা ফুট ক্রয় করতে এখানে আসি । আমরা এখানকার ফুট নিয়ে টেকেরহাট বাজারে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করে থাকি । এখানকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় এই ফুট কিনতে ক্রেতারা পিকআপ ভ্যান,অটোভ্যান,নসিমন নিয়ে আসে। তারা এগুলো রাজৈর,টেকেরহাট,জলিরপাড়,বানিয়ারচর,বনগ্রাম,বাটিকামারী,মুকসুদপুর,গোপালগঞ্জ,ভাংগা ও মাদারীপুর জেলাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে থাকে।
কৃষক নুর ইসলাম খালাসি জানায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে সারাদিন গাড়ি থামিয়ে চালক ও যাত্রীরা এই ফুট কিনে নিয়ে যায়। এখানকার মানুষ অত্যন্ত দরিদ্র ছিল। ফুট চাষ করে অনেকের অভাব দুর হয়েছে। বাড়ীতে পাকা ঘর হয়েছে। এক কথায় এ অঞ্চলের মানুষ আশায় বুক বেধেছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *