কুড়িগ্রাম
আমার কলেজে ভর্তি ফি ৫০০০ টাকা!
রাজিবপুর প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেনীতে ভর্তির নীতিমালায় মফস্বল, উপজেলা কলেজ গুলোত চার্জ সহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে ১০০০ (একহাজার) টাকা। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমুহে দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে উল্লেখিত ফি, যতদুর সম্ভব মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে। সর্ব সাধারনের জ্ঞাতার্থে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাবলী লিখিত ভাবে প্রকাশের নির্দেশ মানা হচ্ছে না।
জানা যায়, চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি বাবদ ও ব্যাবহারিক পরীক্ষার্থী শিক্ষার্থীদের থেকে নানা অজুহাত দেখিয়ে প্রায় ১৫/১৬ লক্ষাধিক টাকা অবৈধ ভাবে আদায় করেছে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর ডিগ্রী কলেজের দাপুটীয় অধ্যক্ষ ইউনুছ আলী । ভর্তি দুর্নীতি নানা তথ্যাদি ভর্তি ইচ্ছুক ও ভর্তি কৃত শিক্ষার্থীদের দেয় তথ্যাদির ভিত্তিতে তথ্য ফাঁস হয়। গরীব মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। দাম্ভিক অধ্যক্ষ ইউনুছ আলী তাদের ভর্তি আবেদন পাত্তা দিচ্ছে না। অভিভাবকগন হতাশায় ভুগছেন, এত টাকা কোথায় পাব? কোথায় ও কোন নিয়ম নীতি নাই, নীতিমালা নিরবে কাদঁছে। প্রতি শিক্ষার্থীকে ভর্তি ফি চার হাজার টাকা গুনতে হবে। বিলম্ব ফি সহ ৫০০০ হাজার টাকাই দিতে হবেই আমার কলেজে ভর্তি হলে । এমন দাম্ভিকতার সাথে কথা বলেন দাম্ভিক অধ্যক্ষ ইউনুছ আলী।
উপজেলায় মাসিক সভায় অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায়, আলোচনায় আসায়, সভায় উপস্থিত থাকা রাজিবপুর ডিগ্রী কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মো. গোলাম মোস্তফা অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় সততা স্বীকার করেন। আ,সি,টি ও ব্যবহারিক পরীক্ষা ফি ৪০ টাকার স্থলে ৪০০ টাকা নেওয়া হয়। ভর্তি কমিটি ও পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি শুধু নামে মাত্রই ভর্তি সংক্রান্ত নয় ছয় হয়ে আসছে। সকল বিষয়ে অধ্যক্ষ মহাদয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ে থাকে একক ভাবে।
বিষয়টি কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাছির উদ্দিন মাহ্মুদ কে মোবাইল ফোনে জানালে তিনি বলেন আমাকে কোন শিক্ষার্থী বা অভিভাবক মহল অতিরিক্ত ফি আদায় করেছে জানায়নি। তদন্ত পুর্বক সততা যাচাই করে সংশ্লিষ্ঠ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে। ভর্তি দুর্নীতি আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে কর্তব্যরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ইউনুছ আলীর বিরুদ্ধে।