উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি
ভারি বর্ষণের কারণে আগামী ৭২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সেখানে জানানো হয়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ মোট ৫৩টি স্থানে বৃদ্ধি পেয়েছে নদ-নদীর পানি। ৩০টি স্থানে পানি হ্রাস পেয়েছে এবং ২০টি স্থানে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। এ ধারা আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঢাকা শহরের আশপাশের নদ-নদী এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে । আগামী ৭২ ঘণ্টা এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর, মধ্য ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাসমূহের কতিপয় স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডালিয়ায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চকরহিমপুরে করতোয়ার পানি বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিংড়ায় গুর নদীর পানি বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঘাবাড়িতে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ১৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এলাসিন স্টেশনে ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লাখপুর স্টেশনে লাক্ষা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, গোয়ালন্দে পদ্মার পানি বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার উপরে, ভাগ্যকূলে ৯ সেন্টিমিটার এবং সুরেশ্বরে ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝিকরগাছায় কপোতাক্ষ নদের পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট স্টেশনে বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ও সুনামগঞ্জে ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারার পানি অমলশীদ স্টেশনে বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ও শেওলা স্টেশনে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পুরাতন সুরমা নদীর পানি দেরাই স্টেশনে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যদুকাটা নদীর পানি লরেরগড় স্টেশনে বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কংস নদীর পানি জারিয়াজঞ্জাইল স্টেশনে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিতাস নদীর পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৮৫টি পানি মনিটরিং স্টেশনের মধ্যে ৫৩টি স্থানে পানি বৃদ্ধি ও ৩০টি স্থানে পানি হ্রাস পেয়েছে। ২টি স্থানে পানির অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে এবং ২০টি স্থানে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।