দেশজুড়ে
নড়িয়ায় বাড়ি-ঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, আহত ১০
শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘাগরি জোরা গ্রামে পূর্ব শত্র“তার জের ধরে একে অপরের বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নড়িয়া থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব শত্র“তার জের ধরে ঘাগরি জোরা গ্রামের খলিল মুন্সী ও সামসুদ্দিন সরদারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বুধবার সন্ধ্যায় খলিল মুন্সীর ছেলে আল-আমীন (৩২) শরীয়তপুর শহরে আসলে সামসুদ্দিন সরদারের সমর্থকরা তাকে মারধর করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে খলিল মুন্সীর সমর্থকরা বুধবার রাতে সামসুদ্দিন সরদারের বাড়ির চারটি ঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে সামসুদ্দিন সরদারের সমর্থকরা খলিল মুন্সীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এসময় হামলাকারীরা প্রায় অর্ধশতাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে জব্বর মুন্সীর ঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা।
খবর পেয়ে শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় হামলাকারীদের আঘাতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে জহিরুল ইসলাম (২৩), লিটন মাল (২৮), নাছিমা বেগম (৪৫), আল-আমিন (৩২) ও মোনায়েম খানকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কবিরুল ইসলাম বলেন, পূর্বশত্র“তার জের ধরে একে অপরের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোন মামলা হয় নি।