Connect with us

রংপুর

ব্যাটারিচালিত রিকশার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে নারীর মৃত্যু

Avatar photo

Published

on

রংপুর: রংপুর নগরীর বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়ে চলন্ত রিকশার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত নারীর নাম হাওয়া বেগম (৪০)। শনিবার সকাল আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, তার নিকট থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা গেছে, তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের মীর হাজীর বাগ (বাসা নং-২২৯) গেন্ডারিয়া, শ্যামপুর এলাকার মনসুর আলী সরকার ও ফিরোজা খাতুনের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, হাওয়া বেগম ব্যাটারিচালিত একটি রিকশায় চড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় হয়ে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে আরডিআরএস মোড়ে পৌঁছালে চলন্ত রিকশার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে গেলে তিনি সড়কে ছিটকে পড়ে যান। তার নাক-মুখ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই নারীর সঙ্গে থাকা একটি ভ্যানিটি ব্যাগে একটি এনআইডি কার্ড ও কিছু টাকা ছিল। এসব পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

মহানগর পুলিশের কোতয়ালী থানার এসআই মনোয়োর হোসেন বলেন, নিহতের পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। ওই নারী অসাবধানতাবশত রিকশার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়লে এঘটনা ঘটে। হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ রমেক হাসপাতালের লাশ ঘরে রাখা হয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দেশজুড়ে

রেইনবো হসপিটালের তথ্য সেন্টার এখন রংপুরে

Avatar photo

Published

on

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ওপার দেশ ভারতের সুনামখ্যাত রেইনবো হসপিটালের তথ্য সেন্টার এখন রংপুরে। অর্থোপেডিক্স, পিডিয়াট্রিক্স নিউরোলজি এবং নিউরোসার্জারি, গ্যাস্ট্রোএন্ট্রলজি এবং লিভার ট্রান্সপ্লান্ট, পিডিয়াট্রিক হেমাটো, লেপারোসকপি, পিডিয়াট্রিক ইউেনটি, ইনসেনটিভ কেয়ার, নবজাতকের বিশেষ পরিচর্যা, পিডিয়াট্রিক পালমোনোলজি, এন্ডোপ্লাজমিকসহ উর্বরতা পরিচর্যাসহ সার্বিক সুবিধা বিষয়ে আলোচনা হয়।

ভারতের অত্যাধুনিক রেইনবো হাসপাতালের তথ্য ডেস্কটি রংপুর নগরীর ধাপ কাকলী লেন মেডি সাপট বিডি প্রতিষ্ঠানে চালু হয়েছে। এই হাসপাতালটি ভারতের হায়দারাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লীসহ ১৬ টি রাজ্যে এর ইউনিট রয়েছে। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে সুনামের সাথে তারা চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে।

রংপুর থেকে কিভাবে এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বাংলাদেশী রোগীরা পাবেন সে বিষয়ে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় নগরীর একটি হোটেলে মতবিনিময়ে রংপুরের তথ্য ডেস্কের প্রধান ধীরেজ বিশ্বাস বলেন, দেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না থাকায় বাহিরের দেশে গিয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে গিয়ে নানামুখী সমস্যায় পড়েন রোগিরা। তাই বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণ করতে যাওয়ার আগেই হাসপাতাল, চিকিৎসা সেবার মান, অর্থ ব্যায়ের পরিমান, বাঙালিদের খাবারের তালিকা, থাকার সু’ব্যবস্থা, ভাষাগত সমসস্যা দূর করতে রংপুরের তথ্য সেন্টার থেকে এই হাসপাতালের তথ্য সেবা পাওয়া যাবে এবং বিদেশে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে আর সমস্যায় পরতে হবে না বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির তথ্য কর্তৃপক্ষ।

Continue Reading

Highlights

আলুতে ‘লেট ব্লাইট‘ রোগ: শেষ সময়ে উৎকণ্ঠায় উত্তরাঞ্চলের চাষিরা

Avatar photo

Published

on

রংপুর অফিস:
আলু উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা রংপুর। প্রতিবছর আলু চাষে স্বপ্ন বুনে এই জেলার প্রায় দুই লাখ কৃষক। কিন্তু ক্ষেত থেকে আলু তোলার শেষ সময়ে এসে জমিতে দেখা দিয়েছে পচন রোগ ‘লেট ব্লাইট’। এতে বিপাকে পড়েছেন আলুচাষিরা। সার কীটনাশকের চড়া দামের সঙ্গে ‘লেট ব্লাইট’ রোগ দমনে স্প্রে কিনতে বাড়তি খরচ যেন অনিশ্চিত লাভে মরার উপর খাড়ার ঘা হয়েছে কৃষকের জন্য।

রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৫৩ হাজার ৩০৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ হয়েছে। এসব জমি থেকে প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিকটন আলু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভালো ফলন হলে জেলা থেকে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি আলু বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। দিনে রোদের তাপ আর রাতে শীতের তীব্রতা ও সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাস থাকলে ‘লেট ব্লাইট’ রোগের আক্রমণের শঙ্কা থাকে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

গতকাল বুধবার জেলার পীরগাছা উপজেলাসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকালের রোদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা স্প্রে মেশিন কাঁধে নিয়ে আলুর জমিতে ওষুধ দিচ্ছেন। ওষুধের কারণে অনেক জমির আলু গাছের ডগাগুলো হলদে রঙে পরিণত হয়েছে।জমিতে স্প্রে করতে কৃষকদের বাড়তি খরচ হচ্ছে একর প্রতি ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা।

জমিতে ওষুধ স্প্রে করার সময় কথা হয় পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়ন নাগদাহ এলাকার কৃষক ফয়জার রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে আলু গাছের চেহারা অনেক ভালো ছিলো। এখনো ভালো আছে। আমার আলুর বয়স ৬৮ দিন হয়েছে ৮০ দিন পার হলে আর কোনো টেনশন থাকতো না। কিন্তু হঠাৎ করে গত ৪-৫ দিন থেকে পাতায় পাতায় পচারি (লেট ব্লাইট) রোগ দেখা দিয়েছে। এর পর থেকেই দুই দফায় ওষুধ স্প্রে করলাম। এই রোগ দমন করা না গেলে আসামি এক সপ্তাহের মধ্যেই পুরো জমির গাছের পাতাগুলো পচে যাবে এরপর আলুর ডগাও পচে যাবে। অর্থাৎ নিমিষেই সোনার ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।’

পার্শ্ববর্তী এলাকার কৃষক জাফরুল ইসলাম বলেন, ‘সুন্দর গাছগুলো হঠাৎ করে পচারি রোগের আক্রমণে নষ্ট হতে বসেছে। খুবই দুশ্চিন্তায় পড়েছি। যাহোক কয়েক দফায় স্প্রে করে মনে হচ্ছে কিছুটা রোগ কমতে শুরু করেছে।’

দেউতি এলাকার জসিম নামের এক কীটনাশক ব্যবসায়ী বলেন, ‘গতবারের তুলনায় এবার আলুর আবাদ এবং গাছের ভালো খবর আমরা পাচ্ছি। তবে কিছু কিছু এলাকায় গত সপ্তাহ থেকে পচারি রোগের আক্রমণের খবর পাচ্ছি। ওইসব এলাকার কৃষক লেট ব্লাইট দমনের ওষুধ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এই রোগ দ্রুত দমন করা না গেলে তা অন্য জমিতেও ছড়িয়ে পড়বে।’

রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান বলেন, ‘গতবারের তুলনায় এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় আলুর আবাদ অনেক ভালো আছে। তবে গত কয়েকদিন আগে রাতে কুয়াশার পরিমাণ কিছুটা বেশি ছিলো। সেই সময়ে অনেক কৃষক ওষুধ স্প্রের সময়ক্ষণ বুঝে উঠতে পারেননি। তাই হয়তো কিছু কৃষকের জমিতে লেট ব্লাইট রোগ দেখা দিয়েছে। তবে অন্যবারের তুলনায় এবার সেটি অনেক কম। আলুর বয়স এখন শেষ পর্যায়ে। কৃষকের ক্ষেত অনেক ভালো আছে।’

Continue Reading

Highlights

তিস্তার তপ্ত বালুচরে কৃষকের ঘামে সোনার ফসল

Avatar photo

Published

on

রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুরের তিস্তার সাদা ধু-ধু বালুচরে কৃষিজ ফসল চাষ করে বদলে যাচ্ছে চরাঞ্চলের কৃষি অর্থনীতির চিত্র। বিগত ৬ বছরে জেলার তিস্তা বেষ্টিত তিন উপজেলাধীন (কাউনিয়া, পীরগাছা ও গংগাচড়া)- অনাবাদী প্রায় ৮ হাজার হেক্টর ধু-ধু বালুচরে এখন সবুজের বিপ্লব। তপ্ত বালুচড়ের কৃষকরা নানা ফসল চাষ করে দেখাচ্ছে সোনালী স্বপ্ন।

তিস্তার জলরাশির বুকচিরে জেগে ওঠা বালি যেন সাদা সোনায় পরিণত হয়েছে। চাষ হচ্ছে আলু, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, স্কোয়াস, ওলকপি, গম, বাদম, ভুট্টাসহ নানা ফসল। জোয়ারে দেখা না গেলেও ভাটায় তিস্তার এ বালুচরের মনোমুগ্ধ সবুজের সমারোহে প্রকৃতি প্রেমিকে যেন কাছে টানে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলার তিস্তা বেষ্টিত চরসহ প্রায় ৮ হাজার হেক্টর চরের জমি এখন আবাদ যোগ্য হয়েছে এর মধ্যে চলতি মৌসুমে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর চরের জমিতে বাদামসহ সবজি জাতীয় ফসল চাষাবাদ এখন মধ্যম সময়ে রয়েছে। বছরে প্রায় ৩০০ শত কোটি টাকার ফসল উৎপাদন হয় এই চরাঞ্চলে।
সরেজমিনে কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা সেতু এলাকা, তালুক শাহবাজ, চরগনাই চর সহ বিভিন্ন চর ঘুরে দেখাগেছে প্রতিটি চরে চলছে বিভিন্ন ফসলের চাষ। কাক ডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চরে কাজ করছে কৃষক-কৃষানী। তিস্তা চরের বালু মাটি যেন সাদা সোনায় পরিনত হয়েছে। বর্তমানে নদীতে পানি কমে যাওয়ায় নদী ভিত্তিক জীবিকা নির্বাহকারীরা পলি ও দোআঁশ মাটিতে চাষাবাদ করে অর্থনৈতিক আলোর মুখ দেখছে। আমন মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বর্তমানে তিস্তা পারের বাসিন্দারা তাদের প্রাণে নতুন করে স্পন্দন ফিরে পেয়েছে।

উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গোপিডাঙ্গা, আরাজি হরিশ্বর, গদাই চর, পাঞ্জরভাঙ্গা, তালুকশাহবাজ, ঢুসমারা চর, টেপামধুপুর ইউনিয়নের হরিচরনশর্মা, গানাই, চরগনাই, বিশ্বনাথ চর, আজমখাঁ চর, হয়বতখাঁ চর, শহীদদবাগ ইউনিয়নের প্রাননাথচর, হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ চর সহ বিভিন্ন চরে গিয়ে দেখা গেছে, খরস্রোতা তিস্তার জেগে ওঠা ধু-ধু বালু চরে শুধুই সবুজের সমারোহ। চরের পলি ও দোআঁশ মাটিতে চাষ হচ্ছে আলু, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, মিষ্টি কুমড়াসহ নানান জাতের ফসল। ফসল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
তিস্তা সেতু এলাকায় চরের খেতে পরিচর্যা করা কৃষক নিমাই চন্দ্র জানান, চরে আলু, পেঁয়াজ ভুট্টা, মরিচ, লাউ চাষ করেছি। ফলনও ভাল হয়েছে আশা করছি দামও ভাল পাব।

তালুক শাহবাজ চরের কুমড়া চাষি তোতা মাষ্টার, সাইফুল, স্বাধীন জানায়- গতবছর মিষ্টি কুমড়ার দামবেশি পাইনি, এবার আশা করছি ভাল দাম পাওয়ার। আবহাওয়া ভালো থাকলে ফলন ভালো হবে। এই তিস্তা চরে আবাদ করে আমাদের নদীপারের মানুষের সংসার চলে। চাষাবাদের জন্য তেমন কোন জমি নাই, প্রতিবছর নদীতে চর জাগলে চাষাবাদ করি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাহানাজ পারভীন জানান, এ উপজেলায় চরের প্রায় ২০২ হেক্টর জমিতে কুমড়াসহ নানা জাতের ফসলের চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চরের কৃষকদের কৃষি বিভাগ থেকে ও উপজেলা পরিষদ থেকে সার্বিক সহযোগিতাসহ ২৫০ কৃষককে বিভিন্ন ধরনের সার দেয়া করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হবে। তিস্তার নদীর জেগে উঠা চরকে ঘিরে চরা লের মানুষের ভাগ্যের দুয়ার ছুলেছে। চলতি মৌসুমে তারা বাম্পার ফলনের ও ভাল দাম পাওয়ার আশা করছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ পরিচালক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় আট হাজার হেক্টর জমিতে নানা প্রজাতের চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে শীত মৌসুমের সবজি জাতীয় ফসল রয়েছে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে। চরে বাম্পার ফলনে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যার ফলে চরের কৃষকের দ্বিগুণ ফলন হবে বলেও আশাব্যক্ত করেন। এছাড়াও দিন দিন চরে চাষাবাদ যোগ্য জমির পরিমাণ বাড়ছে বলেও জানান তিনি।

Continue Reading