বিবিধ
মধুর দশটি ঘরোয়া ব্যবহার আজই জেনে নিন!
রকমারি ডেস্ক:
মিষ্টি জাতীয় খাবার মধুকে কে না পছন্দ করে? ছেলে থেকে বুড়ো সবারই বেশ পছন্দনীয় খাবার মধু। সেই প্রচীন আমল থেকে এখনকার ডাক্তারীবিদ্যা, সবখানেই রয়েছে মধুর সমান দাপট। শরীরের কোষকে দ্রুত বৃদ্ধি করার অত্যন্ত কার্যকরী এই উপাদানটি খাওয়ার ফলে কেবল শরীরের নানারকমের রোগ-ব্যাধিই দূর হয়না, মন আর মস্তিষ্কও সতেজ হয়ে ওঠে। আজ তাই জেনে নিন মধুর ঘরোয়া কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবহারের দিক।
১. মুখের প্রদাহ
মুখ ও গলার যেকোন প্রদাহে মধু বেশ ভালো কাজ দেয়। ঔষধি শাস্ত্রে সেই পুরাতন আমল থেকে নানারকম গাছ-গাছড়ার সাথে মুখের ব্যাকটেরিয়ার দূর করার জন্য মধুর ব্যবহার অনেক প্রচলিত। এতে করে কাশি, গলা জ্বালাপোড়াসহ আরো নানা সমস্যার সমাধান করা যায়।
২. জ্বর
মধুর সাথে খানিকটা লেবুর রসের মিশ্রণ জ্বর প্রতিরোধে অনেকটা সাহায্য করে। শুধু জ্বর ছাড়া ঠান্ডাজনিত যেকোন কাজে এটি বেশ
ভালো উপকার দেয়।
৩. শক্তি
দারুচিনি আর মধুর মিশ্রণ শরীরের পক্ষে বেশ ভালো। এটি কেবল শরীরের বাড়তি শক্তিরই যোগান দেয়না, হাইপারটেনশন আর কার্ডিয়োভ্যাসকুলার রোগেরও প্রতিকার করে খুব সহজেই।
৪. পেটের প্রদাহ
আদা পেটের নানারকম ব্যাধি, যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্যের পক্ষে বেশ উপকারী। তবে এর সাথে খানিকটা মধুর মিশ্রণ আদার প্রভাবকে আরো খানিকটা বাড়িয়ে তোলে। পেটের যেকোন সমস্যার ক্ষেত্রে তখন প্রচন্ড শক্তিশালী এক ঔষধ হয়ে দাড়ায় এটি।
৫. ইনফেকশন প্রতিরোধে
লবঙ্গ নানারকম রোগের প্রতিষেধক হিসেবে পরিচিত। এর ভেতরে থাকে ইউজিনল নামক একটি উপাদান যা কিনা মধুর সাথে মিশ্রিত হলে শরীরের এন্টিসেপটিকের মতোন কাজ করে এবং সব ধরনের ইনফেকশন থেকে শরীরকে বাচিয়ে দেয়।
৬. এসিডিটি প্রতিরোধে
মধুর সাথে আপেলের সিডার ভিনেগারের মিশ্রণ ঘটালে যে জিনিসটি পাওয়া যায় সেটা পেটের নানারকম গোলমাল সারিয়ে তোলে। খাবার হজমে সাহায্য করে। এছাড়াএসিডিটির ক্ষেত্রেও বেশ ভালো ঔষধ হিসেবে কাজ করে মিশ্রণটি।
৭. ত্বকের সাহায্যকারী
দুধের ভেতরে থাকে ভিটামিন এ। যেটা কিনা ফাঁটা ত্বককে ঠিকঠাক করে তুলতে সাহায্য করে। কমলালেবুর ভেতরে রয়েছে ত্বকের ময়লা অংশটিকে সরিয়ে নেবার ক্ষমতা। আর এই দুটোর সাথে যদি মধু মিশিয়ে দেওয়া হয় তাহলে এটি শুষ্ক ত্বককেও অনেকটা সারিয়ে তুলতে পারে। কেবল শুষ্ক ত্বকই নয়, শরীরের রুক্ষ আর ফাটা অংশগুলোকেও সারিয়ে তোলে এটি। এছাড়াও মধু আর চিনির মিশ্রণও শুষ্ক ত্বককে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
৮. কোষ্ঠকাঠিণ্য
নারিকেল তেল আর পানির অন্যতম গুন হচ্ছে শুষ্ক জিনিসকে সারিয়ে তোলা। আর মধুর সাথে এর মিশ্রণটি কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর করে শরীরের নানারকম ব্যথা সারিয়ে দেয়। এছাড়াও শরীরে বাড়তি শক্তি নিয়ে আসে মিশ্রণটি।
৯. ওজন কমাতে
সম্প্রতি করা কিছু পুষ্টি বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলে এটা পাওয়া গিয়েছে যে লেবুর সাথে খানিকটা গরম পানি আর মধুর মিশ্রণ শরীরের ওজন কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
১০. ধুমপান প্রতিরোধে
গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে যে খানিকটা আনারস আর এরপর খানিকটা মধু, এভাবে করে কিছুটা সময় খেলেই ধুমপায়ীদের সিগারেটের প্রতি যে আগ্রহ সেটা কিছু হলেও হ্রাস পায়। তাই বলা যায় যে ধুমপান কমাতেও মধু অনেকটা ভালো ভূমিকা রাখে। এসবের পাশাপাশি মধুর সঠিক ব্যবহার ভালো রাখতে সাহায্য করে চুল আর ফুসফুসও।
বিবিধ
চিফ হিট অফিসার এর দায়িত্ব কি?
বিবিধ
সিদ্দিক বাজার বিস্ফোরণ ২০২৩
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নিয়ে যেভাবে সতর্ক থাকবেন
-
আন্তর্জাতিক8 years ago
গ্রিস প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
-
আন্তর্জাতিক8 years ago
যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিমানের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু
-
স্বাস্থ্য8 years ago
গলা ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা
-
দেশজুড়ে8 years ago
আজ চন্দ্র গ্রহন সন্ধা ৬টা ১২ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত
-
বিবিধ9 years ago
আর অটো রিক্সা নয় এবার অবিশ্বাস্য কম দামের গাড়ি!
-
জাতীয়8 years ago
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
-
জাতীয়9 years ago
স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা
-
ফিচার8 years ago
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস