ফিচার
হত্যাকাণ্ডের বিচারে তোতাপাখি কি সাক্ষী হতে পারে?
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালে ওই দম্পতির তোতাপাখিটির সামনে স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের আত্মীয় স্বজনরা বিশ্বাস করেন হত্যাকাণ্ডের আগে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে যে ঝগড়া হয়েছিলো তোতাপাখিটি সেটা শুনেছে এবং তারপর থেকে পাখিটি ঝগড়ার ওই কথাগুলো পুনরাবৃত্তি করছে।
একথা শোনার পর স্থানীয় বিচারক বলেছেন, এই পাখিটির ‘চিৎকার চেঁচামেচিকে’ তথ্য-প্রমাণ হিসেবে নেওয়া যাবে কিনা সেটা পরিষ্কার নয়। তোতাপাখিটি আফ্রিকান গ্রে। তার নাম বাড।
“আমাদের যে ধরনের তথ্য প্রয়োজন তার জন্যে এই বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য হবে কীনা সেটা আমাদের ঠিক করতে হবে,” ওই বিচারককে উদ্ধৃত করে এই খবরটি দিয়েছে ডেট্রয়েট ফ্রি প্রেস। স্ত্রী মিসেস ডারামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে তিনি তার স্বামীকে পাঁচটি গুলি করেছিলেন। তারপর তিনি নিজেকে নিজে গুলি করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।
নিহত মার্টিনের সাবেক স্ত্রী ক্রিস্টিনা কেলার বর্তমানে ওই তোতাপাখিটির মালিক। ক্রিস্টিনা কেলার বিশ্বাস করেন হত্যাকাণ্ডের রাতে তোতাপাখি বাড যা কিছু শুনেছে তাই সে এখন বার বার বলছে। তোতাপাখিটি যা বলছে তার সবশেষে রয়েছে, “গুলি করো না।” নিহত মার্টিনের পিতামাতাও তার এই বক্তব্যের সাথে একমত হয়েছেন।
মার্টিনের পিতা স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “আমি মনে করি পাখিটি সেখানে ছিলো। সেসময় যেসব কথা হয়েছে সেগুলো সে মনে রেখেছে। আর সেই কথাগুলোই সে এখন বলছে।”
বিচারক বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচারে একজন সাক্ষী হিসেবে তোতাপাখিটিকে আদালতে ডেকে পাঠানোর সম্ভাবনা খুবই কম।