Connect with us

দেশজুড়ে

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাতের আঁধারে ভরাট হচ্ছে কালিদাস নদী

Published

on

photo Kalidas nodi borat (2)মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: দফায় দফায় প্রশাসনের বাঁধার পরেও রাতের আধারে বালু ভরাট করে অবৈধ ভাবে দখল করে নিচ্ছে মুন্সীগঞ্জ শহর ঘেষা কালীদাশ নদীর তীর। শহরের উত্তর ইসলামপুরের ফরাজি বাড়ী ঘাটের তীর ভরাট করে দখল করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মজিদ হাজির ছেলে সেন্টু হাজী ও সেলেম হাজি। প্রশাসনের নাকের ডগায় নদীর তীর দখলের বিষয়টি স্থানীয়দের ভাবিয়ে তুলেছে। অচিরেই এসব অবৈধ দখলকারী ভূমিদুস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কালের বিবর্তনে ভূমিদস্যুদের করাল গ্রাসে হারিয়ে যাবে সদা সচল ঐতিহ্যবাহী নদীটি। শহরের উত্তর প্রান্তের হাটলক্ষিগঞ্জ এলাকা হয়ে শহরের বুকচিরে দক্ষিন প্রান্তের রমজানবেগ, চরমশুরা গ্রাম হয়ে মেঘনা নদীতে মিশে যাও নদীটি এক সময়ে দূর- দূরান্তে যাতায়াতের উপযুক্ত নদী পথ ছিল । বিভিন্ন দখলদারদের কারনে এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উত্তর ইসলামপুরের ফরাজীবাড়ীর ঘাট এলাকার প্রভাবশালী সেন্টু হাজী ও তারছোট ভাই সেলেম হাজী নদীর পাড়ে বাঁশের বেঁড়া দিয়ে ড্রেজারের মাথ্যামে বালু ফেলে ভরাট করে নিচ্ছে নদীতীরে বিশাল একটি অংশ। ভূমিদুস্য চক্রটির ক্ষমতার দাপটের কারেন দফায় দফার প্রশাসনের বাঁধার পরেও রাতের আধারে বালু ফেলে ভরাট করে নিচ্ছে নদীর তীর। অপরদিকে নদীটির বিভিন্ন স্থানে অবৈধ দখলদারা নদীটিকে পুরোপুরিভাবে গ্রাস করার লক্ষে যে যেভাবে পারছে ভরাট করে মালিকানায় পরিনত করছেন । নাম প্রকাশ না করার শর্তে
স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি এটা কালীদাস নদী । নদীটি ধলেশ্বরী নদীর একটি শাখা । নদীটি আগে অনেক চওড়া ছিল এখন প্রভাবশালি ভূমিদ্যুদের দখলদারিত্তের কারনে আস্তে আস্তে ভরাট হয়ে যাচ্ছে ।
এ ব্যাপারে বালুভরাটকারী সেন্টু মিয়ার সাথে ফোন আলাপকালে তিনি জানান, এটা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি তাই বালু দিয়ে ভরাট করতেছি। এখানে আমাদের পৈত্রিক জমি ছিল পূর্বে এক সময় নদীতে ভেঙ্গে গিয়ে নদীগর্ভে বিলীন হয় । এখন চর পরেছে তাই আমরা আস্তে আস্তে বালু দিয়ে ভরাট করিতেছি । এ ব্যাপারে সহকারী কমিমনার ভূমি অফিসার সাইদুজ্জামান বলেন, আমরা একাধিকবার দখলদারদের বালু ভরাট করতে নিষেধ করেছি। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ বালু ভরাট করে এমন অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অবৈধ দখল দারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার নিয়ে শহরের একমাত্র সচল এই নদীটির অচিরেই দখল মুক্তকরবে সরকার এমন দাবী নদীতীর বর্তি হাজারো মানুষের।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *