Connect with us

ঢাকা

‌‌‌‌”আমাকে মারবেন না ভাই, আমার পেটে বাচ্চা আছে”

Published

on

hhhhhhবাংলাদেশেরপত্র ডেস্ক: আমার কাছে কিছু নাই। আমাকে জীবন ভিক্ষা দেন ভাই, আমি আর বস্তিতেই থাকবো না। রাজধানীর ভাষানটেক বস্তিতে যে ৩ নারী পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তার মধ্যে একজন ছিলেন অন্তঃসত্তা। নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে এভাবেই আর্তনাদ করেছিলেন তারা। কিন্তু পাষণ্ডরা তাদের সেই আর্তনাদ না শুনে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মম নির্যাতন চালায়। ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে তাদের গোপনাঙ্গে আঘাত করে থেঁতলে দেয়া হয়।
কথাগুলো বলছিলেন, নির্যাতনের শিকার ওই তিন নারীর খালা। সেই সঙ্গে তাকেও নির্যাতন করা হয়। নির্যাতিতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।
ওই নারী জানায়, গত মঙ্গলবার মামুন ও তার লোকজন নারী-পুরুষসহ তাদের পরিবারের ৯ জনকে ধরে নিয়ে যায়। প্রথমে মঙ্গলবার সকালে সুবেলকে ধরে নিয়ে যায়।
পরে সন্ধ্যার দিকে বাকিদের নিয়ে যায়। সবাইকে তারা রশি দিয়ে বেঁধে লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে রাতে নারীদের সবাইকে উলঙ্গ করে মোবাইল দিয়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করে। এদের মধ্যে ছয় মাসের অন্তঃসত্তা এক নারীসহ সবাইকে উলঙ্গ করে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে গোপনাঙ্গে আঘাত করে। তাদের নিষ্পেষিত নির্যাতনে কাতর হয়ে পিপাসার পানিটুকু চেয়ে পাইনি তারা। পরে রাত ১১টার দিকে মামুনের ভাই জহিরে এসে তাদের উদ্ধার করে।
বস্তির বাসিন্দা নূরজাহান জানান, তাদের চিৎকার শোনার পর আমি ওই ঘরে যাওয়ার চেষ্টা করলে তারা আমাকে তাড়িয়ে দেয়। তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা এর বিচার ও শাস্তি চাই।
ঘটনার তিন দিন পর গত শুক্রবার সকালে নির্যাতনের শিকার এক তরুণীর মা বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ দ্রুত তাদের উদ্ধার করে এবং একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাবুল, ল্যাংড়া বাদল ও কুদ্দুস নামে তিন জনকে আটক করা হয়।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *