Connect with us

দেশজুড়ে

উন্নয়নে বদলে দিয়ে চারঘাট-বাঘায় আবারো দলের টিকিট নিশ্চিত শাহরিয়ার

Avatar photo

Published

on


নবী আলম,(চারঘাট প্রতিনিধি) রাজশাহী: চারঘাট ও বাঘা উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত রাজশাহী-৬ সংসদীয় আসনে ‘বাটি চালান’ দিয়েও এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাওয়া যাবে না। মসজিদ-মন্দির, স্কুল-কলেজ, গির্জা, পার্ক-বিনোদনকেন্দ্র, হাসপাতাল-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সব জায়গায় লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। যেখানে আগে কাঁচা রাস্তা পর্যন্ত ছিল না, সেখানে এখন ইউরোপ আমেরিকার আদলে হয়েছে পাকা সড়ক। ভাঙা-চোড়া রাস্তার বদলে কার্পেটিং রাস্তা। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। অবসান ঘটেছে ‘চরমপন্থার’। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গেও নেই দাঙ্গা-ফাসাদ, হানা-হানি!

চারঘাট ও বাঘা’র এই আমূল পরিবর্তনের ‘নায়ক’ হচ্ছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। সঙ্গত কারণেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ¦ শাহরিয়ার আলম এমপিই আওয়ামী লীগের নিশ্চত প্রার্থী। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহভাজন শাহরিয়ার আলমের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে কোনো সংশয় না থাকলেও মনোনয়ন প্রত্যশায় চারঘাট-বাঘায় নিজ দলের তিনজন মনোনয়ন প্রত্যাশি রয়েছেন যারা জোরোসরেই জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন মাঠ-ঘাট পথে প্রান্তরে। তার পরেও আবারো শাহরিয়ার আলম হচ্ছেন আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী এমনটাই বলছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সংশ্লিস্ট সুত্রে জানাগেছে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলম এমপি শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসতে আধুনিক ও যুগোপযোগী বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছেন। এরমধ্যে দুটি উপজেলার শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে উপবৃত্তি প্রদান, মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার, ৯৮% শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। শুধু চারঘাট উপজেলায় ২৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার সংস্কার করা হয়। উপজেলার ১৭টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৮টি কলেজ, ৮টি মাদ্রাসা ও ২টি টেকনিক্যাল কলেজসহ সর্বমোট ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওয়াসব্লক, টুইন ল্যাট্রিন স্থাপন করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিভাবক সমাবেশের ব্যবস্থা , ব্যল্যবিবাহ রোধে শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ, কোমলমতী শিক্ষার্থীরা যেন মাদকে আসক্ত না হয় সেজন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে মাদক বিরোধী সভা ও আলোচনার ব্যাবস্থা করেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলম এমপি নতুন শিক্ষা ভবন স্থাপনে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তিনি চারঘাট উপজেলার ১৭ টি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা, ৮ টি কলেজে ১০ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা,৪ টি মাদ্রাসায় ৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা এবং ২ টি টেকনিক্যাল কলেজে ৩৭ কোটি ৯ লক্ষ্য টাকাসহ সর্বমোট ৩১ টি প্রতিষ্ঠানে ৬২ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকার নতুন ভবন স্থাপন করেন। তিনি শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটাল করার লক্ষ্যে উপজেলার ৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও ৭ টি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করেছেন। এছাড়ার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি নিজ উদ্যোগে ল্যাপটপ প্রদান করেছেন। এছাড়াও সরকারী করেছেন সরদহ মহাবিদ্যালয়কে।

এ বিষয়ে জানতে চারঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল-মামুন তুষার  জানান,চারঘাট-বাঘা আসনটি বরাবরই ছিল বিএনপির দখলে। ধানের শীষের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি এ আসনে ২০০৮ সালে বিএনপির ঘাটিতে হানা দিয়ে তরুন রাজনীতিবিদ সৎ চরিত্রের অধিকারী শাহরিয়ার আলম ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে আসনটি আওয়ামীলীগকে উপহার দেন। এরপর দলীয় নেতাকর্মীসহ কেন্দ্রের নিকট জনপ্রিয় ব্যাক্তি হিসেবে নিজের জায়গায় তৈরী করতে সক্ষম হন শাহরিয়ার আলম। দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ফিরে আসে উৎসবের আমেজ।

অপর দিকে চারঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহানুল হক রানা বলেন, শাহরিয়ার আলম এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চারঘাট-বাঘায় উন্নয়ন ঘটিয়ে এলাকার আওয়ামীলীগসহ দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের হৃদয়ে একটি শক্ত অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। দলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিভেদ মিটিয়ে দলকে করেছেন আরো সুসংগঠিত। ফলে দলীয় নেতাকর্মীরা ছাড়াও সাধারন ভোটারদের নিকট শাহরিয়ার আলম হয়ে উঠেছেন সৎ,নির্ভিক, পরোপকারী। সর্বপরী হয়ে উঠেছেন উন্নয়নের অগ্রদুত।

এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আবারো ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী রায়হানুল হককে পরাজিত করে দ্বিতীয় বারের মত এমপি নির্বাচিত হোন। এরপর সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হোন শাহরিয়ার আলম। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর দিনে দিনে বদলাতে থাকে চারঘাট-বাঘার চিত্র। কৃষি,স্বাস্থ্য,শিক্ষা,বিদ্যূত, অবকাঠামো সব খানেই শুরু হয় উন্নয়নের যাত্রা। গত নয়ঁ বছরে এসব বিষয়ে উন্নয়ন ঘটিয়ে চারঘাট-বাঘাকে আধুনিক এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হোন শাহরিয়ার আলম এমপি। রাস্তাঘাট,মসাজদ,মাদ্রাসা, স্কুল কলেজ এমন কোন প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে শাহরিয়ার আলমের উন্নয়ন হয়নি। সবখানে উন্নয়ন ঘটিয়ে বদলে দিয়েছেন চারঘাট-বাঘার জীবনমান। সুশিক্ষার ব্যবস্থা করে দুর করেছেন বেকারত্বের অভিশাপ। এখন চারঘাট-বাঘায় অধিকাংশ পরিবারের ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান করছেন চাকুরী। আর এটা সম্ভব হয়েছে এক মাত্র শাহরিয়ার আলমের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনেই।

তিনি বলেন, এক সময় বিদ্যুত পাওয়াটা ছিল সোনার হরিণের মতো। কিন্তু আজ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত চারঘাট-বাঘার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল। দুটি উপজেলার কোথাও খুজে পাওয়া যাবে না মাটির রাস্তা। সবখানেই এখন পিচ ঢালা রাস্তা।

আর এসব কারনেই শাহরিয়ার আলম আবারো একা¦দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন এটা অনেকটা নিশ্চিত। তবে শাহরিয়ার আলম ছাড়াও দলের অপর তিনজন প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাশায় জনসংযোগ প্রসঙ্গে ফকরূল ইসলাম বলেন, দলের ভিতরে মনোনয়ন প্রত্যাশায় অনেকেই গনসংযোগ করবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে সব শেষে শাহরিয়ার আলমের পক্ষেই সকলেই কাজ করবেন এমনটাই দাবি করলেন আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ সহ সকল সিনিয়র নেতা।

এ দিকে শাহরিয়ার আলম ছাড়াও আওয়ামীলীগের নিজ দলের যারা মনোনয়ন প্রত্যাশায় গনসংযোগ করছেন তারা হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য চারঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগে সাবেক সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ রায়হানুল হক, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক লায়েব উদ্দিন লাভলু ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী। এদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য রায়হানুল হক রায়হান গন সংযোগ করছেন ব্যাপক ভাবে।

তবে স্থানীয়দের ভাষ্যমতে শাহলিয়ার আলম ছাড়া যারা মাঠে জনসংযোগ করছেন তারা এক সময়ে ঠিকই এককাতারে হয়ে শাহরিয়ার আলমের পক্ষেই কাজ করবেন। বিএনপির ঘাটিতে বার বার হানা দিয়ে আসনটি ধরে রাখতে শাহরিয়ার আলমের বিকল্প নেই বলে দাবি আওয়ামীলীগের তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের।

 

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গাজীপুর

গাজীপুরে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে পুনরায় রেস্টুরেন্ট চালু, আতঙ্কে স্থানীয়রা

Avatar photo

Published

on

গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত ভবনে অননুমোদিতভাবে পুনরায় রেস্টুরেন্ট চালু হওয়ার বিগত ৫ বছরেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বেইলি রোড ট্র্যাজেডির পর রেস্টুরেন্টটিতে পুনরায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রীতিমতো আতঙ্গে ভুগছেন প্রতিবেশীরা। রেস্টুরেন্ট মালিক বিস্ফোরণের ঘটনাকে ‘অগ্নিকাণ্ড’ উল্লেখ করে বীমা কোম্পানি থেকে কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ পেলেও আশপাশের ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আজও দাঁড়ায়নি কেউ। উন্মুক্ত আলো-বাতাস বিহীন ওই রেস্তোরাঁর বদ্ধ রান্নাঘরে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে ভবনের ভেসমেন্ট লন্ডভন্ড হয়ে যায় এবং কয়েকটি ভবনের মূল কলাম ভেঙ্গে পড়ে।

উল্লেখ্য বিগত ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রাতে গাজীপুর মহানগরীর বোর্ড বাজারে অবস্থিত বাংলার রাঁধুনি রেস্তোরাঁয় সংঘটিত ওই বিস্ফোরণে ১ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়। ব্যস্ততম বোর্ড বাজার বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘেঁষেই মনসুর আলী সুপার মার্কেটের নীচ তলায় রেস্তোরাটি অবস্থিত। বিস্ফোরণে রেস্তোরাঁর ভেতরে থাকা লোকজন ছাড়াও পথচারিরাও আহত হয়। মহাসড়কের বিপরীত পাশে বোর্ডবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গিয়েও বিস্ফোরিত বস্তু আঘাত আনে। মসজিদের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ আজও ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণের সাক্ষী হয়ে আছে।

স্থানীয়দের প্রশ্ন, আর কত ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও প্রাণ ঝরলে কর্তৃপক্ষ সজাগ হবে। ওই ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে। এ ঘটনায় গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দেয়া পর্যন্তই সবার দায়িত্ব শেষ। পরবর্তীতে রেস্তোরাঁ বা ভবনটির কার্যক্রম সম্পর্কে আর কেউ খবর রাখেনি। এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির প্রস্তাবনা-নির্দেশনাও আর বাস্তবায়ন হয়নি। বরং যথাযথ নিয়ম কানুন প্রতিপালন ছাড়াই চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে আগের জায়গায় রেস্তোরাঁ চালুসহ সব ধরনের কার্যক্রম চলছে আরো জোরেশোরে। এতো বড় একটা দুর্ঘটনার পরও যেনতেনভাবে সেই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পুনরায় রেস্টুরেন্ট চালু হওয়ায় বিস্ময়ে অবাক স্থানীয়রা। ভবনটি সংস্কার বা পুনঃনির্মাণে রাজউকের অনুমোদন ও ফায়ার সার্ভিসের অনাপত্তি সনদও নেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি রেস্তোরাঁ ও ভবন মালিকপক্ষ।ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে কীভাবে আগের মতই সব কার্যক্রম চলছে তা যাচাই করে দেখারও সময় হয়নি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের।

পাশের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও ভবন মালিকরা জানান, বিস্ফোরণে ক্ষয়ক্ষতি হলেও রেস্টুরেন্ট মালিক ‘অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাবদ’ বীমা কোম্পানি থেকে এক কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ লাভ করেন। অথচ ওই রেস্তোরাঁ মালিকের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কাউকেই একটি টাকাও ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি। বিগত ২০২১ সালের ২৭ জুন রাজধানীর মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত হওয়ার পর দিনই প্রতিবেশী আতঙ্কগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বাংলার রাঁধুনি রেস্তোরাঁর কার্যক্রম পরিচালনা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেন। প্রায় তিন বছর পেরিয়ে গেলেও আজও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব‍্যবস্থা গ্রহণ করেননি। সম্প্রতি রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে রেস্টুরেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধশত প্রাণহানির ঘটনায় গাজীপুর বোর্ড বাজারের আলোচিত বাংলার রাঁধুিন রেস্তোরাঁ সংলগ্ন ব্যবসায়ীদের মধ্যে এখন রীতিমতো আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয়দের প্রশ্ন, বাংলার রাঁধুনির জরুরি বর্হিনির্গমন ব্যবস্থা না থাকা ভবনের ভেতরে আটকে থাকা মানুষগুলোর পরিণতি যদি নতুন কোনো বেইলি রোড ট্র্যাজেডি তৈরি করে তাহলে তার দায়ভার কে নিবে? বিগত ২০১৯ সালের দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোরই বা কি হবে যারা পূর্বের দুর্ঘটনার ঋণের বোঝা এখনো বয়ে বেরাচ্ছেন। রাঁধুনি রেস্তোরাঁর মালিক হাবিব কিন্তু ঠিকই ইন্সূরেন্সের টাকা দিয়ে তার ক্ষতি পুষিয়ে নিবেন। রাশেদের মতো সন্তান হারানো মায়ের কোল ভরিয়ে দিবে কে?

এদিকে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাংলার রাঁধুনি রেস্তোরাঁর মালিক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ভবনটি যথাযথভাবে সংস্কার করেই আমরা পুনরায় রেস্তোরাটি চালু করেছি। এখন আর কোন ঝুঁকি নেই।

Continue Reading

গাজীপুর

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উদযাপন

Avatar photo

Published

on

কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যের স্মরণে “পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪” উদযাপন করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।

‘কর্তব্যের তরে, করে গেলে যাঁরা,আত্মবলিদান-প্রতিক্ষণে স্মরি, রাখিব ধরি, তোমাদের সম্মান’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শনিবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ মাহবুব আলম বিপিএম পিপিএম(বার)।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার। পরে ১ মিনিট নীরবতা পালন ও কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারবর্গ ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Continue Reading

গাজীপুর

মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ কোনাবাড়ি থানার এএসআইয়ের বিরুদ্ধে

Avatar photo

Published

on

গাজীপুর প্রতিনিধি :

ঘুষ না দেয়ায় মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। তিনি কোনাবাড়ির বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক অন্যায় করে বেড়াচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে বেশকিছু অভিযোগ।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে ওই এএসআই রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর দাদা মোঃ লাল মিয়া (৬২) নামে এক ব্যক্তি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি অপরাধ (উত্তর) বিভাগে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এএসআই রুহুল আমিন।

লিখিত অভিযোগে লাল মিয়া জানায়, গেল ৪-ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৫টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসএআই) রুহুল আমিন ও তার সঙ্গী ফর্মা (সোর্স) মিলে লাল মিয়ার নাতী ইমনকে আমবাগ লালঘাট ব্রিজের কাছে থেকে আটক করে।

পরে তাকে ধরে নিয়ে মিতালী ক্লাব সংলগ্ন ভুক্তভোগীর বর্তমান ঠিকানার ভাড়াবাসায় এসে মাদকদ্রব্যের কথা বলে ঘরে প্রবেশ করেন ওই দারোগা এবং তার সোর্স মোঃ শরিফ মিয়া। এ সময় তাদের ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র বিছানা, আলমারি, সুকেশ তল্লাশি করেন তারা। তল্লাশিরকালে ইমনদের বাসায় মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত কোনো কিছুই পায়নি ওই পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক।

এ পর্যায়ে তাদের ঘর তল্লাশি শেষে কিছু না পেয়ে এএসআই রুহুল আমিন ও তার সঙ্গে ফর্মা (সোর্স) ঘরে থাকা স্টিলের আলমারি থেকে নগদ তিন হাজার টাকা, সুকেশ এর ড্রয়ার থেকে আট আনা স্বর্ণের একটি চেইন, আট আনা ওজনের একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল, তিন আনা ওজনের একটি আংটি এবং ব্যবহৃত অপ্পো ব্রান্ডের পুরাতন মোবাইল সেট নিয়ে নেয়।

পরে পুলিশের সঙ্গে থাকা সোর্স শরিফ এবং চাঁন মিয়া অভিযোগকারীর নাতী ইমনকে মারধর করে এবং টাকা দিতে বলে। টাকা না দিলে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলে ইমনের মাকে হুমকী দিয়ে ইমনকে নিয়ে চলে যায়।

লিখিত অভিযোগকারী ইমনের দাদা লাল মিয়া বলেন, এরপর ৫-ফেব্রুয়ারি অনুমানিক রাত দেড়টার দিকে এএসআই রুহুল তার সোর্স মোঃ শরিফ (২০বাসায় পাঠায় এবং ১নং আসামি ইমনের মা রাশেদা বেগমের কাছে (৫০) পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে বলে। ৫০ হাজার টাকা দিলে থানা থেকে তার ছেলে ইমনকে ছেড়ে দেয়া হবে।

অভিযোগকারী লাল মিয়া জানায়, তার ছেলে নুর আলম নাতী ইমনসহ পরিবার নিয়ে বর্তমান ঠিকানায় দুই বছর যাবৎ বসবাস করছেন। ইমনের বাবা নুর আলম নছের মার্কেট এলাকায় ভিভিন্ন ঝুটগুদামে ডেইলী লেবারের কাজ করেন। আর নাতী ইমন বাসায় থেকে সুইং মেশিন চালিয়ে প্যান্ট ও গেঞ্জির কাজ করে সংসার চালিয়ে আসছে। আমি এবং আমার পরিবারের কেউই কখনো মাদকদ্রব্য সেবন, গ্রহণ এবং ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে সম্পৃত্ততা নেই এমন কি এলাকার কেউ বলতে পারবে না যে, আমার নাতী ইমন মাদকের সংঙ্গে জড়িত।
অথচ দারোগা রুহুল সন্দেহ বশত্ব রাস্তা থেকে আমার নাতীকে গ্রেপ্তার করেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তা টাকা চেয়েছিল, মূলত টাকা না দেয়ার কারণে আমার নাতিকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে জেলে প্রেরণ করেছেন রুহুল দারোগা। এই বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমার বর্তমান ঠিকানা ভাড়া বাসার সামনে স্থাপনকৃত সিসি ক্যামেরায় সংরক্ষিত সব ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। ওই ভিডিও ফুটেজে এএসআই রুহুল আমিনসহ সোর্সদের দেখা গেছে ইমনের বাসায় ঢুকতে। ভিডিও ফুটেজে ইমনকে মারপিট করার শব্দও শোনা গেছে।

ইমনের বাবা নুর আলম বলেন, আমার ছেলে ইমনের সঙ্গে মিতালী ক্লাব উত্তরপাড়া এলাকার নয়ন (১৯) কেও গ্রেপ্তার করে হয়। নয়নকে ১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট আর আমার ছেলেকে ২৫পিস ইয়াবা চালান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রুহুল নয়নের পরিবারের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নয়নকে ১৫পিস ট্যাবলেট দিয়েছে।

ইমনের বাবা বলেন, আমি গরীব মানুষ বিভিন্ন ঝুট-গুদামে লেবারের কাজ করে কোনো মতে সংসার চালায়। আমার ছেলেকে যেদিন গ্রেপ্তার করা হয় সেদিন বরিশালে পীরের দরবারে ছিলাম। বাসায় এসে শুনি আমার ছেলে ইমনকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করে জেলে দেয়া হয়েছে। আমি মেয়ের জন্য আস্তে আস্তে কিছু স্বর্ণের জিনিস করেছিলাম সেগুলোও ওই পুলিশ নিয়ে গেছেন। সোর্স ওবায়দুল ওই গয়না গুলো খুলে নেন। টাকা দিতে পারিনি বিধায় আমার ছেলেকে মাদক মামলায় জড়ানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, ইমনকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর পরে তারা খুব মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছে। এর প্রতিকার চেয়ে দারোগা রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে বর্ণিত বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবী করে লিখিত অভিযোগ করেছি।

তবে এসব অভিযোগ এএসআই রুহুল আমিন অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

জিএমপি কোনাবাড়ি থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মহিউদ্দিন ফারুক জানান, অন্যায় করতে পছন্দ করি না, কেউ যদি অন্যায় করে সমর্থনও করি না, পুলিশের কেউ যদি এমন অপরাধ করে থাকে তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আছেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবে।

Continue Reading