দেশজুড়ে
কালীগঞ্জে একই পরিবারের ৯ জনকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট
লালমনিরহাট সংবাদদাতা: লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় একই পরিবারের ৯ জনকে অজ্ঞান করে নগদ ১৫ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণলংকার লুট করে নিয়ে গেছে দৃর্বৃত্তরা। এতে ৪জন গুরত্বর অসুস্থ হয়ে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। শনিবার (১৩ আগষ্ট) সকালে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের তালুকবানীনগের এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থরা হলেন,বাড়ির মালিক জরিপ উদ্দিন দুলু তার স্ত্রী রেজিয়া বেগম, মেয়ে জেরিন আক্তার,জান্নাতুল ফেরদৌস ও ছেলে রিয়াজ উদ্দিনসহ চট্রগ্রাম থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী ইয়াকুব, সালাউদ্দিন, এরশাদ, লোকমান।
স্থানীয়রা জানান, চট্রগ্রাম থেকে দুলু স্ত্রীর বড় ভাই গরু ব্যবসায়ী। ঈদের গরু কিনতে টাকা নিয়ে নিয়ে ইয়াকুব, সালাউদ্দিন, এরশাদ, লোকমান কালীগঞ্জে আসেন ঈদের গরু কিনতে। রাতে পরিবারের সদস্যরা মিলে রাতে খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। স্থানীয় এলাকাবাসী সকালে ডাকাডাকির পরেও পরিবারের সদস্যদের ঘুম ভাঙ্গেনি। আবারও প্রতিবেশিরা ডাকাডাকি করলে ওই পরিবারের বড় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসী ঘুম থেকে উঠেন। উঠে দেখেন সবাই ঘুমাচ্ছে কেউ উঠছে না। পরে প্রতিবেশি কালীগঞ্জ থানায় খবর দেয়।
বাড়ির মালিকের বড় মেয়ে দুলুর বড় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, রাতের খাবার বেশি খান নেই বলে তিনি অসুন্থ হন নি। বড় মামা ইয়াকুব আলী গরু কিনতে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে গতকাল এসেছেন আমাদের বাড়িতে।
কালীগঞ্জ থানার (এ এস আই) আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, প্রথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। গরু ব্যবসায়ী চারজনকে অনেক আগে থেকে তাদের পিছু নিয়ে এসেছেন দৃর্বৃত্তরা। রাতের খাবারের আগে দৃর্বৃত্তরা বাড়ীর টিউবেওয়েলে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে দেওয়ায় তারা অচেতন করে টাকাসহ স্বর্ণলংকার লুট করে নিয়ে গেছে দৃর্বৃত্তরা।
তুষভান্ডার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে নগদ ১৫ লাখ টাকাসহ স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। উচ্চমাত্রার ঘুমের ওষুধ মিশানো হয়েছিলো। যার কারনে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত অচেতন হয়ে পড়ে। তবে বর্তমানে তারা শংকামুক্ত রয়েছেন।