Connect with us

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে ধরলার পানি বিপদসীমা দিয়ে প্রবাহিত, ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী

Published

on

Kurigram Flood Situation photo-(1) 27.06.16শাহ্ আলম, কুড়িগ্রাম: বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সামান্য কমেছে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি।
ধরলার অববাহিকায় ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম সদর এবং তিস্ত্ার অববাহিকার রাজার হাট উপজেলার চর ও নীচু এলাকা গুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানি বান্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এসব এলাকার কাচা রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় কলাগাছের ভেলা ও নৌকাই একমাত্র যোগাযোগের ভরসা। হাতে কাজ ও ঘরে খাবার না থাকায় বিপাকে পড়েছে দিন মজুর শ্রেনির মানুষজন।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চর ভেলাকোপার শমসের আলী জানান, গত কয়েকদিন থেকে পানি বাড়তেই আছে। ভিটা উচু করার পরও বাড়ির পানি ঢুকে পড়ছে। কোথাও বের হতে পারছি না। কাজও চলছে না। ছেলে-মেয়ে নিয়ে বিপদে আছি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, বন্যা কবলিত পরিবারের মাঝে ৮ হাজার ৪ শত ৪৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা ঈদের আগে বিতরন করা হবে। বন্যা কবলিত এলাকায় শুকনা খাবারের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন জানান, আমরা ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং করেছি। বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের আছে। আমরা পর্যাপ্ত ত্রান বরাদ্দ পেয়েছি। আমরা শুকনো খাবার কিনে রেখেছি। ত্রান মন্ত্রনালয় আমাকে আশ্বস্থ করেছে কোন মানুষ যাতে কোন অবস্থায় কষ্ট না পায় সেজন্য যা সহায়তা করা দরকার আমরা তা করবো।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার, নুন খাওয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *