কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি, চরম দুর্ভোগে আড়াই লাখ মানুষ
গত এক সপ্তাহ্ ধরে কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর পাকা সড়কসহ কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে থাকায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে যাত্রাপুরহাটের তীর রক্ষা বাধে। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরন করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সর্বত্রই চলছে ত্রানের জন্য হাহাকার।
সদর উপজেলার পোড়ার চরের বাসিন্দা সেকেন্দার আলী জানান, কাজ নাই, খাবার নাই, রিলিফও পাই নাই। খুব কষ্টে আছি। কি হবে জানি না?
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, গত ২ দিন ধরে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। আমি বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছি। বন্যার্তদের দুর্ভোগ লাঘবে যা করনীয় তা আমরা করবো।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন জানান, বন্যার্তদের জন্য ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও ১শ ৯২ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা বিতরন করা হয়েছে। আরো ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে যা ঢাকা থেকে সড়ক পথে কুড়িগ্রামে আসছে। এসব শুকনো খাবার হাতে পাওয়া মাত্রই বিতরন করা হবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমান জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।