Connect with us

ঝিনাইদহ

কোটচাঁদপুর সংরক্ষনের অভাবে জমজমাট আমের হাট!

Published

on

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কোটচাদপুরে গড়ে উঠেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তম আমের হাট। কালীগঞ্জ থেকে কোটচাদপুরে প্রবেশ পথে এই আম বাজার চোখে পড়ে। অন্য স্থানের চেয়ে তুলনামূলকভাবে আমের দাম কম হওয়ায় প্রতিদিন এই বাজারে প্রায় ৫০ লাখ টাকার আম বেচাকেনা হয়। দেশীয় জাতের, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, হিমসাগর, বোম্বাইসহ বিভিন্ন জাতের আম এখান থেকে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসব আম সংরক্ষণের জন্য একটা ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।
সিলেটের আম ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিন বলেন, এই এলাকা এখন আমের জন্য বিখ্যাত। গত সাতদিন হলো ঝিনাইদহের কোটচাদপুরে অবস্থান করছি। এই এলাকার আমের সাইজ ও কালার ভাল। তাই এখান থেকে কম দামে কিনে ট্রাক ভরে সিলেটে সরবরাহ করি। আম ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল হোসেন জানান, সকাল ৭টা থেকে পশ্চিমাঞ্চলের ঝিনাইদহ, কোটচাদপুর, মহেশপুর, চৌগাছা, ঝিকরগাছা, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, হাসাদহ, আলমডাঙ্গা ও দামুড়হুদা এলাকার আম ব্যবসায়ীরা এই বাজারে আম বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। এখান থেকে প্রতিদিন গড়ে ছোট-বড় ৫০ ট্রাক আম দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। ঢাকা,বরিশাল,সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন আমের জুস কোম্পানির প্রতিনিধিরা এখান থেকে আম ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।
কোটচাঁদপুরের আম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, এই বাজারে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আম বিক্রি করা হয়। এখানে ল্যাংড়া আম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা মণ, হিমসাগর ৮৫০ থেকে ৯৫০টাকা মণ ও অন্যান্য জাতের আম ৭০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। এছাড়াও এখানে দেশীয় জাতের আটির আম ৫০০-৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ।
তিনি জানান, কোটচাঁদপুরের আমের বাজারে প্রায় ২০০ জন ব্যবসায়ী আছেন। আম বাজারে স্থায়ী আমের দোকান আছে ৭০টির মতো।
কোটচাঁদপুর আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সঞ্জয় বিশ্বাস জানান, তারা সরাসরি আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আম ক্রয় করনি। এখানে আম পাকানোর জন্য কোনো রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় না। যার কারণে এখানকার আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমের ব্যবসা ২-৩ মাস থাকে। তিনি আরো জানান, যদি সরকার এখানে আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতো তাহলে এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আম সরবরাহ করা যেতো।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *