জাতীয়
খুলনায় অস্বাভাবিক মৃত্যু ৯ দিনে বিভিন্ন ঘটনার শিকার ১০ শিশু
খুলনা প্রতিনিধি:
খুলনায় ৯ দিনে ১০ শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে কেউ পানিতে ডুবে, কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, কেউ সাপের ছোবলে আবার কেউ আত্মহত্যা করে মারা গেছেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর বুধবার ডুমুরিয়া উপজেলার মোজারঘোটা গ্রামের অনিমেশ মন্ডলের ছেলে অনিক (৩), ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পপতিবার রুদাঘরা গ্রামের ওহিদ মোল্লার মেয়ে সামিয়া (২), ৬ সেপ্টেম্বর শনিবার চেঁচড়ি গ্রামের ইয়াহিয়া খান বাবুলের মেয়ে পাখি (১) ও শোভনা গ্রামের খোকন সরদারের মেয়ে ফারজানা (৩) পানিতে ডুবে মারা যান।
৭ সেপ্টেম্বর রোববার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় ডুমুরিয়া উপজেলার কোমরাইল গ্রামের আতিয়ার রহমান ফকিরের ছেলে স্কুল ছাত্র মিলন (৯), একই দিনে খুলনার ফুলতলা উপজেলায় দু’টি স্থানে পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ঢাকুরিয়া গ্রামে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু হয়। তারা দুইজন আপন চাচাতো ভাই।
নিহতরা হলেন- ফুলতলা উপজেলার ঢাকুরিয়া গ্রামের রেজাউল সরদারের ছেলে রাজিবুল ইসলাম (৫) ও শাহীনুর রহমান সরদারের ছেলে ফরহাদ হোসেন (৪)।
এলাকাবাসী জানায়, রাজিবুল ও ফরহাদ বাড়ির পাশে খেলার সময় পুকুরে নেমে পড়ে। দীর্ঘক্ষণ তাদের দেখতে না পেয়ে বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুরের মধ্যে একজনের লাশ ভাসতে দেখে। পরে পুকুরে নেমে আরেকজনের লাশও পাওয়া যায়।
অপরদিকে ফুলতলার তাজপুর গ্রামের সেন্টু কাজীর ছেলে সোহান কাজী (৭) পার্শ্ববর্তী ভৈরব নদীতে ডুবে মারা গেছে। সেন্টু কাজী ফুলতলা গরুরহাট এলাকার মহসিন মোল্লার বস্তির ভাড়াটিয়া। ৮ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে সাপের ছোবলে মারা যায় ডুমুরিয়ার শালাতিয়া গ্রামের আহাদ আলী মোল্লার ছেলে আল আমিন (৮)। ১০ সেপ্টেম্বর বুধবার নগরীর কালীবাড়িঘাট এলাকার খলিল উদ্দিনের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে সীমা আক্তার (১২) গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ সময় তিনি একটি চিরকুট লিখে রেখে যান।
জানা যায়, সীমা রূপসা উপজেলার আইচগাতীতে বড় ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়ে আত্মহত্যা করে। সচেতন মহল মনে করছেন, অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে এর অধিকাংশ মৃত্যু ঘটেছে। এক্ষেত্রে তাদের আরও সচেতন হওয়া উচিত।