চুনারুঘাটে একই পরিবারের ৪জনকে কুপিয়ে জখম

চুনারুঘাটে একই পরিবারের ৪জনকে কুপিয়ে জখম করেছে দূর্বৃত্তরা।

চুনারুঘাট(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের রামশ্রী গ্রামের মৃত আব্দুল গণির পুত্র কাছুম আলী (৬৫) ও কাছুম আলীর পুত্র সৈয়দ শামছুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ১ম সাময়িক পরীক্ষার্থী মাসুম মিয়া (১৮), ফারুক মিয়া (২৬) ও মেয়ের জামাতা নয়ানী বনগাঁও গ্রামের আ. সালামের পুত্র আ. মন্নান (৩৫) কে পূর্ব বিরোধের জের ধরে একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করেছে একদল দুর্বৃত্তরা। জানা যায়, গতকাল রবিবার সন্ধা ৭টার দিকে কাছুম আলীর নিজ বসতবাড়ির পশ্চিম দিকের রাস্তায় এ ঘটনাটি ঘটে। কাছুম আলীর সাথে এক পর্যায়ে সদর ইউনিয়নের হাসারগাঁও গ্রামের আজম আলী ও ইমাম হোসেন এর সাথে কথা কাটাকাটি হলে এসময় উত্তেজিত হয়ে আজম আলী, ইমাম হোসেন, রায়হান মিয়া, সুমন মিয়া সহ একদল দুর্বৃত্তরা পূর্ব বিরোধের জের ধরে ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে কাছুম আলী ও তার মেয়ের জামাতা ও দুই পুত্রকে বেদড়ক মারপিট করে তাদের মাথায় কুপিয়ে সারা শরীরে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। আহতদের আর্তচিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসীরা চুনারুঘাট থানা পুলিশকে খবর দিলে থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন ও একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহতদেরকে উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় তাদেরকে চুনারুঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ৯ই জুলাই রোজ শনিবার সাড়ে ৭টার দিকে কাছুম আলীর সাথে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে ইমাম হোসেন ও আজম আলী সহ তার দলবল নিয়ে কাছুম আলীর বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট চালায় এবং বসতবাড়িতে জোর পূর্বক প্রবেশ করে লুটপাট করিলে কাছুম আলীর স্ত্রী রোকিয়া বেগম বাধা দিলে তাকে ইমাম হোসেনের দলবলরা বেদড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। আহত রোকিয়াকে চুনারুঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঐ ঘটনায় রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে ইমাম হোসেন সহ ৪ জনকে আসামী করে চুনারুঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কাছুম আলীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে ইমাম হোসেনের পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। ঐ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুনারুঘাট থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন বিকাল ৫টার দিকে মামলা তদন্ত করিয়া চুনারুঘাট থানায় আসার পথে ঐ মামলার আসামীরা মামলার বাদীকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রাণে হত্যার চেষ্টা চালায় এবং এরই জের ধরে একই পরিবারের ৪ জনকে মাথায় কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এ ব্যাপারে কাছুম আলী বাদী হয়ে ইমাম হোসেন সহ ৫/৭ জনকে আসামী করে চুনারুঘাট থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ওসি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ও অপরাধীদেরকে ধরে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন।