Connect with us

ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ে পাটের বাম্পার ফলন, পানি নেই কৃষক হতাস

Published

on

 
আব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও  সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে সরজমিনে দেখা যায়, হঠাৎ অনাবৃষ্টির কারণে কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা। খানাখন্দ, পুকুর, জলাশয় খুবই পানি কম। কৃষকরা তাদের পাট পচাতে পারছেন না। ভূগর্ভের পানি সেচ দিয়ে পাট চাষ করেছিলেন চাষীরা। ফলন ভাল হয়েছে বৃষ্টির পানির অভাবে পানির জন্য চাষীদের মধ্যে রীতিমতো হতাশায় ভুগছে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আনিসুর রহমান জানান, এ বছর  ঠাকুরগাঁওয়ে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্র ছিল ৩ হাজার হেক্টর জমিতে। চাষ হয়েছে ২ হাজার ৬শ’ ৮০ হেক্টর জমিতে। গত বছর পাট চাষ হয়েছিল লক্ষ্যমাত্রার অনেক বেশি। পানির অভাবে এবার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। পাট রোপণের সময় বৃষ্টিপাত ভালো  হওয়ায় ফলনও ভাল হয়েছে। বর্ষাকাল বৃষ্টি হলেও বর্তমানে খাল, বিল, নালায় পানি  খুবই কম। তবে কৃষকরা জানিয়েছেন, ঠাকুরগাঁও কৃষি অফিস থেকে পাটের আঁশ ছাড়ানোর কোন মেশিন সরবরাহ করা হয়নি।  কৃষকরা আরও জানান, পানির অভাবে পাট কাটতে দেরি হওয়ায় এবার আমন আবাদেও এর প্রভাব পড়তে পারে। সেজন্য এবারের ৩ হাজার ৮শ’ হেক্টর আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অনেকেই পাট কাটছেন না। আবার অনেক কৃষকরা পাট পচাতে শুকনো খালে, পুকুরে সেচযন্ত্র দিয়ে ভূগর্ভে তুলে পাট পচানো চেষ্টা করছেন। হরিনারায়নপুর গ্রামের রফিকুল ইসমান জানান, তিনি ২ বিঘা জমিতে এবার পাট চাষ করেছেন। সেচ পানি দিয়ে আবাদ করে এখন পাট পচানোর জায়গা পাচ্ছেন না। সোমবার সকালে তিনি স্যালো মেশিন দিয়ে ভূগর্ভের পানি পুকুরে তুলে সেখানে পাট পচানোর চেষ্টা করছেন। শ্রী কৃষ্ণপুর গ্রামের সামসুল ইসলাম জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে পাঠ চাষ করেছেন কিন্তু পানি অভাবে পাট কাটছেন না। আক্চা  গ্রামের আমজাদ হোসেন জানান, দুই বিঘা জমির পাট পানির অভাবে কাটছেন না। মোহাম্মদপুরের আনছারুল, অমেদ আলী, কুদ্দুস দফাদার,  ঠাকুরগাঁওয়ের ৬০ শতাংশ কৃষক পাট কেটে ওই জমিতে আমন আবাদ করে থাকেন। সেজন্য কৃষকরা পাট কাটতে না পেরে হতাশায় পড়েছেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *