দেশজুড়ে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী লাঞ্ছনার প্রতিবাদে রংপুরে ছাত্র ফ্রন্ট ও নারীমুক্তি কেন্দ্রের মানববন্ধন ও সমাবেশ
রংপুর প্রতিনিধি:
পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনার প্রতিবাদে শনিবার সকাল ১১টায় রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্র ফ্রন্টের জেলা সভাপতি আহসানুল আরেফিন তিতুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু, জেলা কমিটির সদস্য পলাশ কান্তি নাগ, ছাত্র ফ্রন্টের জেলা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, নারীমুক্তি কেন্দ্র রংপুর জেলার অর্থ সম্পাদক কামরুন্নাহার খানম শিখা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এই ধরণের ঘটনার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়েছে। পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় লক্ষ মানুষের ঢল নামে এবং অতীতেও এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে তা জানা সত্ত্বেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় নি। উপরন্তু উৎসব উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কনসার্ট, ব্যান্ড শো, বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বিক্রি, বিজ্ঞাপনী প্রচার ইত্যাদির অনুমোদন দিয়ে পরিবেশকে কলুষিত করা হয়েছে। এই পরিবেশে গত কয়েক বছরে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে চিহ্নিত সরকারদলীয় ক্যাডারদের হাতে নারী লাঞ্ছনার বেশ কিছু ঘটনা ঘটলেও সরকার, পুলিশ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে নি। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশ কোন ঘটনায় তাৎক্ষণিক সক্রিয় হতে চায় না, কারণ তারা জানে প্রধানত সরকারী ছাত্র সংগঠনের কর্মীরাই এসব অপকর্মের সাথে যুক্ত। এভাবে ক্যাম্পাস এলাকাকে সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছে। এর ফলেই প্রকাশ্যে হাজার হাজার মানুষের সামনে এ ধরণের বর্বরোচিত নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটতে পারলো।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “ইন্টারনেট ও মোবাইলের মাধ্যমে পর্ণোগ্রাফির অবাধ বিস্তার এবং বিনোদনের নামে সিনেমা-পত্রিকা-বিজ্ঞাপনে অশ্লীলতা-অপসংস্কৃতি ও ভোগবাদের প্রচার চলছে। এর প্রভাবে নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে দেখার মানসিকতা গড়ে উঠছে বিরাটসংখ্যক যুবকদের মধ্যে। এ সবকিছুতে পৃষ্ঠপোষকতা যোগাচ্ছে নীতিহীন বুর্জোয়া রাজনীতি। এই অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা এবং সমাজে আদর্শবাদ চর্চা ও মানুষ হিসেবে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
নেতৃবৃন্দ, অবিলম্বে সিসি ক্যামেরায় চিহ্নিতসহ সকল অপরাধীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এছাড়া দায়িত্বহীন পুলিশ সদস্য ও মদতদাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের উপযুক্ত বিচারের মুখোমুখি করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।