Connect with us

দেশজুড়ে

নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর দ্রুত ছিটমহল বিনিময়ের স্বপ্ন দেখছেন ছিটবাসীরা

Published

on

 কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে দ্রুত ছিটমহল বিনিময়ের আশার আলো দেখছেন ছিটমহলবাসীরা। ৬৮ বছরের বন্দী জীবনের অবসান ঘটিয়ে মুক্ত জীবনের স্বাদ পেতে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর দিকে চাতক পাখির মতো চেয়ে আছেন তারা। তাদের দাবি, শুধু বিল পাশ নয়, নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনায় এর দ্রুত বাস্তবায়নও চান।
১৯৭৪ সালে ইন্দ্রিরা-মুজিব স্থলসীমান্ত চুক্তির পর গত ৫ মে ভারতের মন্ত্রীসভায় অনুমোদন, ৬ মে রাজ্যসভা ও ৭ মে লোকসভায় স্থলসীমান্ত বিলটি পাশ করে ভারত সরকার। বিলটি পাশের খবরে আনন্দে ভাসতে থাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১টি ও ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের ৫২ হাজার মানুষ। ভারতের পার্লামেন্টে বিল পাশের একমাসের মাথায় ৬ জুন গত কাল দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এতে করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছিটমহল বিনিময়ের স্বপ্ন দেখছেন দু’দেশের ১৬২টি ছিটমহলের মানুষ। পাশাপাশি দীর্ঘজীবনের দুঃখ-দুর্দশা ঘোচাতে ছিটমহলের উন্নয়নে ভারত সরকারের নিকট প্যাকেজ প্রোগ্রাম ঘোষণার দাবি জানান তারা। এতে করে তারা ফিরে পাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য বস্ত্রসহ সকল মৌলিক অধিকারগুলো।
ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ার ছড়া ছিটমহলের সভাপতি আলতাব হোসেন বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে নতুন করে খুশির জোয়ার বইছে ছিটমহলবাসীদের মনে। আমরা আশা করছি, নরেন্দ্র মোদির এ সফরের মধ্যদিয়ে দিনক্ষণ ঠিক করে দ্রুততম সময়ে ছিটমহল বিনিময় করা হবে। আর বন্দী জীবন নয়, নতুন জীবন নিয়ে বাঁচতে চাই আমরা।
বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি বাংলাদেশ অংশের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামের ফল ভোগ করার আশায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে চেয়ে আছেন ছিটের অসহায় মানুষেরা। যত দ্রুত সম্ভব ছিটমহল বিনিময় করে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়াসহ ছিটবাসীদের ভাগ্য উন্নয়নে দু’দেশকেই এগিয়ে আসতে হবে এমনটাই দাবি এ নেতার।
বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি বাংলাদেশ অংশের সভাপতি মঈনুল হক জানান, যেহেতু ভারত সরকার সে দেশের অভ্যন্তরে থাকা ছিটমহলগুলোর জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। আমরা ৬৮ বছর যাবৎ ভারতীয় নাগরিক হিসেবে ছিটমহলে সুবিধা বঞ্চিত থেকে বসবাস করে আসছি। আমরা চাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার বাংলাদেশ সফরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ১১১টি ছিটমহলের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করবেন। যা থেকে এসব ছিটমহলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে, ছিটমহল বিনিময়ের সুফল ভোগ করতে পারে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *