জাতীয়
নাশকতা মামলায় ২ দিনের রিমান্ডে আসলাম চৌধুরী
মতিঝিল ও লালবাগ থানার ওই দুই মামলায় গত ২৪ মে ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। কয়েক দফা ওই রিমান্ড শুনানি পেছানোর পর গতকাল বুধবার এই রিমান্ড আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিকালে আসলাম চৌধুরীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
মতিঝিল থানার নাশকতার মামলায় ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন নাহার ইায়াছমিনের আদালতে শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে লালবাগ থানার নাশকতার মামলায় মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট নুর নবীর আদালতে রিমান্ড শুনানি শেষে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। উভয় মামলায়ই আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। কিন্তু শুনানি শেষে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন। সামিপক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ প্রমুখ রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
মতিঝিল থানার ৬(১)১৫ নাশকতার মামলায় ডিবি পুলিশের এসআই আনোয়ার হোসেন এবং লালবাগ থানার ৫(১)১৫ নাশকতার মামলায় ডিবি পুলিশের এসআই এমামুল ইসলাম এই রিমান্ড আবেদন করেন।
এর আগে গত ১৫ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলামকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরদিন ফৌজদারি কার্যবিধির (সন্দেহজনক) ৫৪ ধারার মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এরপর এ আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। ওই মামলায় গত ৩১ মে ৭ দিন এবং গত ৬ জুন ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই রিমান্ড শেষে গত ১৩ জুন তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
উল্লেখ্য, আসলাম চৌধুর গত ৫ মার্চ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত ভারতে অবস্থানকালে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সরকারকে উৎখাতের জন্য বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বহিভূত রাষ্ট্র ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এর এজেন্ট মোন্দি এন সাফাদির সঙ্গে সাক্ষাত করেন। যার কিছু ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। উক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের পর জানায় যে, ওই সময় ভারতে অবস্থান করে মোসাদ এর এজেন্ট মোন্দির সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বৈঠক করে বাংলাদেশ সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন। উক্ত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাতের জন্য দেশে সন্ত্রাস, নাশকতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করেন যা দেশে অখন্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি স্বরূপ এবং রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল মর্মে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়।