দেশজুড়ে
বিএসএফ’র আদালতে আজ আবারও শুরু হয়েছে ফেলানী হত্যার পুনঃ বিচার কাজ
শাহ্ আলম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
দীর্ঘ ৩ মাস ৫দিন মুলতবির পর ভারতের কোচবিহারে বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় আবারও শুরু হয়েছে ফেলানী হত্যা মামলার পুনঃবিচারিক কার্যক্রম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন ও কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন। এর আগে ৪ মাস মুলতবি থাকার পর গত ২৫ মার্চ পুনঃ বিচার কাজ শুরু হলেও বিএসএফ’র সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অসুস্থ থাকায় ৩০ জুন পর্যন্ত পুনঃবিচারিক কার্যক্রম মুলতবি করে আদালত। এদিকে দীর্ঘ দিন পর হলেও ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা করছেন ফেলানীর পরিবার।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্তে কাটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয় বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী খাতুন। এ হত্যাকান্ডে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমসহ মনবাধিকার কর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝর উঠে। অবশেষে ২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট ভারতের কোচবিহারের বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় বিএসএফ’র বিশেষ আদালত। পরে বিজিবি-বিএসএফ’র দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে ফেলানী হত্যার পুনঃ বিচারের সীদ্ধান্ত হয়। পরে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনঃবিচার শুরু করলেও একাধিকবার মুলতবির পর বিএসএফ’র আধিকারী সিপি ত্রিবেদীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বিচারিক প্যানেল বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
বিএসএফ’র আদালতে কয়েক দফা বিচার কাজ পিছালেও এবার ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা করছেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ও মা জাহানারা বেগম।
কুড়িগ্রাম পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, ফেলানী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে খালাস দেয়ার পরও পুণঃ বিচার শুরু হওয়ায় ন্যায় বিচারের আশা করছি। এই সেশনে বিচারকাজ শেষ করে সঠিক রায় ঘোষনা করা হবে।
পুনঃ বিচারের মধ্য দিয়ে বিএসএফ’র গুলিতে কাটাতারের বেড়ায় নির্মম হত্যা কান্ডের শিকার ফেলানী খাতুনের পরিবার পাবে ন্যায় বিচার, আর সেই সাথে কমে আসবে সীমান্ত হত্যা এমনটাই চাওয়া সবার।