Connect with us

কুড়িগ্রাম

ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৪৬ ও ধরলার পানি ৩৪ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত

Published

on

Kurigram Flood news 22.07.2016শাহ্ আলম, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী, উলিপুর, রৌমারী, রাজিবপুর, নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী উপজেলার নদ-নদীর অববাহিকার ২শতাধিক চর ও দ্বীপচরের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
গত ৫ দিন ধরে পানিবন্দী মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট। রাস্তা-ঘাট তলিয়ে থাকায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে প্রায় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বন্যা দুর্গত এলাকার অনেক পরিবার গবাদিপশু নিয়ে উচু বাধ ও পাকা সড়কে আশ্রয় নিয়েছে।
চিলমারী উপজেলার অষ্টমীর চরের মজিবর রহমান জানান, ঘরের ভিতর পানি ঢুকে পড়েছে। কোন রকমে চৌকির ওপর বউ-বাচ্চা নিয়ে আছি। কাজও নাই খাবারও নাই। কেমন করে বাচি। পানি যে ভাবে বাড়তেছে তাতে মনে হয় বাঁচার উপায় নাই। আর বাড়িত থাকা যায় না।
জেলা প্রশাসন সুত্র জানা গেছে, বন্যার্তদের জন্য জেলার ৯ উপজেলায় ৫ লাখ টাকার শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা আজ বিতরন করা হবে। এছাড়াও ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও ৯০ মেট্রিক টন চাউল বিতরনের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নতুন করে আরো ২শ মেট্রিক টন চাউল ও ২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে, যা পর্যায়ক্রমে বিতরন করা হবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে দুধকুমারের পানি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *