দেশজুড়ে
রংপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৯ লাশ শনাক্ত
পরিচয় নিশ্চিত হওয়া নিহতরা হলেন- নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ইউনুস আলীর ছেলে মুহাম্মদ আলী (৪৫), একই এলাকার সাবেদ মিয়ার ছেলে আব্দুল মতিন (৩২), ইকরচালী ফারুকিয়া মাদরাসার সহকারী শিক্ষিকা জিন্নাত আরা (৩৫), সায়মন পরিবহনের চালক সৈয়দ আলী (৪৮), দিনাজপুরের চিরিরবন্দর এলাকার অতুল চন্দ্র রায়ের ছেলে চন্দন রায় (৩০), তৃপ্তি পরিবহনের চালক তৈয়ব আলী (৪৫), রংপুরের গঙ্গাচড়া চেংমারি এলাকার আবু বকরের ছেলে অকুল মিয়া (৩০), নীলফামারীর কুঠিমারি কাচারীপাড়া এলাকার বছির উদ্দিনের ছেলে আতোয়ার হোসেন (৪৩), একই এলাকার ছকমল আলীর ছেলে লিটন মিয়া (২২)। অন্য তিনজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। নিহতদের মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরেই এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকে। তবে পরবর্তিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখন পুরো এলাকা জুড়ে চলছে শোকের মাতম। অনেকেই স্বজনদের খোজে হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সায়মন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি বাস বুধবার বেলা ১১ টার দিকে ইকরচালীর বরাতি ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে সামনের ডানদিকের চাকা পাংচার (লিক) হয়। এসময় চালক চলন্ত গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিকে দিনাজপুর থেকে আসা রংপুরগামী তৃপ্তি পরিবহনের মুখোমুখি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৮ জন এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৬৬জন বাসযাত্রী। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।