দেশজুড়ে
রাজশাহীতে আ.লীগের গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ৩
সংঘর্ষে বাগমারা থানার ওসি মতিয়ার রহমান ও এএসআই আমিনুল ইসলামসহ কমপক্ষে ছয় পুলিশ আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বাগমারা উপজেলার হাটগাঙ্গোপাড়ায় সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আউচপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন থানা আওয়ামী লীগের সদস্য সরদার জান মোহাম্মদ। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন আউচপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুজ্জামান শহীদ।
নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন বাগমারা আসনের সাংসদ এনামুল হককে শোকজ করে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করে দেয়। এরপর থেকে উপজেলার দলীয় প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের তুমুল বিরোধের সৃষ্টি হয়। প্রায় প্রতিদিনই ছোট খাট সংঘর্ষ চলতে থাকে।
প্রত্যক্ষর্দীরা জানান, শনিবার বিকেলে হাটগাঙ্গোপাড়া বাজারে বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুজ্জামানের সমর্থকরা নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় আনন্দ করতে থাকে। ওই সময় তাদের উপর হামলা করে দলীয় প্রার্থী জান মোহাম্মদের সমর্থকরা। এতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। লাঠি-সোটা, হাসুয়া, রামদা নিয়ে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় দুপক্ষের মাঝে গুলি বিনিময় ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে জান মোহাম্মদের সমর্থকরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা বাগমারা থানার ওসি মতিয়ার রহমান ও এএসআই আমিনুল ইসলামকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এতে ওসি মতিয়ার রহমান গুরুতর জখম হন। এএসআই আমিনুলের একটি আঙ্গুল কেটে মাটিতে পড়ে যায়। হামলায় আরও চার পুলিশ আহত হন। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালালে গুলিতে নিহত হন তিনজন। গুরুতর আহত আরো দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি খুরশিদ আলম জানান, আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এসময় পুলিশ গুলি করলে দুজন নিহত হন। অপর একজন সংঘর্ষে মারা গেছেন বলে তিনি জেনেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।