বিবিধ
চীনকে টপকে গেল জাপান
মার্কিন ট্রেজারির (সরকারি সিকিউরিটিজ) সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনকে টপকে গেছে জাপান। মূলত ডলারের বিপরীতে ইয়েনের মান দুর্বল হয়ে পড়ায় দেশটিতে আরো বেশি মার্কিন মুদ্রা প্রবেশ করছে। ফলে উচ্চইল্ডের (বিনিয়োগকারীর মুনাফা) বন্ডগুলো জাপানের বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করছে। বর্তমানে ডলারের বিপরীতেই চীন তাদের মুদ্রা ইউয়ানের মান ধার্য করেছে। সিআরটি ক্যাপিটালের কৌঁসুলি ইয়ান লিনজেনের দেয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর ইউয়ানের মানের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও শ্লথ অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় চীনা বিনিয়োগকারীরা দেশের বাইরে থেকে অর্জিত আয়ের বেশির ভাগই অভ্যন্তরীণভাবে বিনিয়োগ করছেন। ট্রেজারি ইন্টারন্যাশনাল ক্যাপিটালের (টিআইসি) সাম্প্রতিক প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, ফেব্র“য়ারিতে মার্কিন ট্রেজারির বিল ও বন্ডে চীনের মোট বিনিয়োগ ছিল ১ দশমিক ২২৩ ট্রিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের ১ দশমিক ২৭৩ ট্রিলিয়ন ডলারের চেয়ে কম। অন্যদিকে মার্কিন সরকারের সিকিউরিটিজগুলোয় জাপানের বিনিয়োগ বেড়ে ১ দশমিক ২২৪ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে, এক বছর আগে যা ছিল ১ দশমিক ২১ ট্রিলিয়ন ডলার। জাপানের গভর্নমেন্ট পেনশন ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড গত বছর এক ঘোষণায় জানায়, অভ্যন্তরীণ বন্ডে বিনিয়োগ লক্ষ্য পরিবর্তিত করে তা আন্তর্জাতিক বাজারের ইকুইটি ও স্থির আয়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। ব্যাংক অব জাপান (বিওজে) থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, গত বছরের সর্বশেষ তিন মাসে দেশের সোস্যাল সিকিউরিটিজ ফান্ড মোট ২০ বিলিয়ন ডলারের বিদেশী সিকিউরিটিজ কিনেছে। কোয়ান্টিটেটিভ ইজিং (কিউই) কর্মসূচির মাধ্যমে ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বন্ড ক্রয় করে মার্কিন ট্রেজারির বর্তমানে সবচেয়ে বড় একক বিনিয়োগকারী হিসেবে শীর্ষে আছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। বন্ড ক্রয় কার্যক্রম শেষ হলেও অর্থ পুনঃপরিশোধ ও কুপন বাবদ এখনো পুনঃবিনিয়োগ হচ্ছে। অবশ্য মার্কিন ট্রেজারির সবচেয়ে বড় বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে চীন ও জাপানের কিছুটা দূরত্ব রয়েছে। গত ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত মার্কিন সরকারের ঋণে বিদেশী কেন্দ্রীয় ব্যাংক, হেজ ফান্ড, ইন্স্যুরার,অ্যাসেট ম্যানেজার ও পেনশন ফান্ডের মতো আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের অংশ ছিল ৬ দশমিক ১৬ ট্রিলিয়ন ডলার। জানুয়ারির ৬ দশমিক ২১ ট্রিলিয়ন ডলারের চেয়ে তা কম হলেও গত বছরের ফেব্র“য়ারির ৫ দশমিক ৮৯ ট্রিলিয়ন ডলারের তুলনায় বেশি। অন্যদিকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ব্যাংকগুলো মার্কিন সরকারের সিকিউরিটিজগুলোয় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। চতুর্থ অবস্থানে থাকা বেলজিয়ামের অংশ ৩৪৫ বিলিয়ন ডলার। টিআইসি আরো জানিয়েছে, ফেব্র“য়ারির শেষ পর্যন্ত তেল রফতানিকারক দেশগুলোর অংশ ২৯৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার, গত বছরের একই মাসে যা ছিল ২৪৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।