Connect with us

আন্তর্জাতিক

ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে শোকাহত জনতার মিছিল

Published

on

247CCB7800000578-2900835-image-a-21_1420660875014আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফ্রান্সের জনপ্রিয় রম্য পত্রিকা শার্লে এবদো কার্যালয়ে বন্দুকধারীদের হামলায় পত্রিকাটির সম্পাদকসহ ১২ জন নিহতের ঘটনায় ফ্রান্সের অনেকে শহরে শোক মিছিল করেছে সাধারণ মানুষ। এ ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গভীর নিন্দা ও শোক জানিয়ে ফ্রান্সের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে। বুধবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্যারিসের বাস্তিল মনুমেন্টের অদূরে অবস্থিত শার্লে এবদো কার্যালয়ে অস্ত্রধারীদের গুলিতে সম্পাদক, সাংবাদিক ও পুলিশসহ মোট ১২ জন নিহত হয়। আহত হয় বেশ কয়েকজন। এ ঘটনায় প্যারিসসহ দেশের সব বড় শহরে রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষুব্ধ সাধারণ জনতা। তারা এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে পত্রিকাটির প্রতি তাদের সংহতি প্রকাশ করে। মিছিলকারীরা আকাশ অভিমুখে কলম উঁচিয়ে ধরে, অন্ধকারে মোমবাতি জ্বালিয়ে এবং স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকার সম্বলিত নানা প্ল্যাকার্ড বহন করে। প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে সমবেত হওয়া হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ ও শোকাহত শহরবাসী নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ ও এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। প্যালেস ডি লা রিপাবলিকের সামনে বিক্ষোভে যোগ দেওয়া এক নারী একটি পোস্টার ধরে রেখেছেন। তাতে লেখা, ‘বিশ্ব এতোটাই বিপন্ন যে, একজন কাটুনিস্টের পেশাও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।’ একইরমক শোক মিছিল হয়েছে টুরস, টওলাউস, ব্রেস্ট, লিওন, রেসেন ও পোয়েটিয়ারস ও অন্যান্য শহরে। এছাড়া ইউরোপের বার্সেলোনা, বার্লিন, রোম ও লন্ডনেও অনুরূপ মিছিল হয়েছে।

রম্য ম্যাগাজিনটির শিরোনাম অনুযায়ী এসব মিছিলের প্রায় সবগুলোতেই জনতা চিৎকার করে বলে, জ্য সুইস শার্লে ও আই অ্যাম শার্লে। এছাড়া এএফপির নিউজরুমে কর্মীদের জ্য সুইস শার্লে লেখা ছোট প্ল্যাকার্ড হাতে শোক জানাতে দেখা যায়। ফ্রান্সের লা মন্ডে পত্রিকার ভাষ্যমতে, এর প্রতিবাদে প্যালেস ডি লা রিপাবলিক চত্বরে রাতে অন্তত ১৫ হাজার মানুষ জমায়েত হয়। এতে করে সেখানে ট্রাফিক ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে। এদিকে, এ ঘটনার পরপরই প্যারিসে জারি করা হয় সর্বোচ্চ সতর্কতা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় রাতে এলিসি প্রাসাদে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন প্রেসিডেন্ট ওলাঁদ। এছাড়া হামলাকারীদের ধরতে ফ্রান্সজুড়ে স্মরণকালের সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে ফরাসি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফ্রান্সের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক, ওবামা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল সহ বিশ্বনেতারা।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *