Connect with us

জাতীয়

খালেদার বক্তব্য ‘মিথ্যার ফুলঝুরি’: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে ‘মিথ্যার ফুলঝুরি’ তুলে ধরছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  রোববার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সাম্প্রতিক ইন্দোনেশিয়া সফর নিয়ে এই সংবাদ ডাকা হলেও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর এক সাংবাদিক তার কাছে খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের প্রতিক্রিয়া জানতে চান।

বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “তিনি মিথ্যার ফুলঝুড়ি দিয়ে গেছেন।” যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের ভুয়া বিবৃতি এবং ভারতের বিজেপি প্রধান অমিত শাহের ফোনালাপের প্রসঙ্গ ধরে তিনি বলেন, “উনার মিথ্যাচারের কথা কী বলব!  “দেশের ভেতরে তো মিথ্যাচার করেই যাচ্ছেন, বিদেশিদেরও ছাড় দেননি। মিথ্যা কথা উনি চমৎকারভাবেই বলতে পারেন।”

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন সিটি নির্বাচনে নিরব প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেওয়ায় তার প্রতুত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কিসের প্রতিশোধ? কে কার প্রতিশোধ নেবে?’

তিনি বলেন, ‘তার নির্দেশে কত মায়ের কোল খালি হয়েছে। এখন প্রতিশোধ যদি জনগণ নেয় তা কার ওপর নেবে সেটা তার ভেবে দেখা উচিত।’ খালেদা জিয়া নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার চালালেও তা গণমাধ্যমে আসেনি বলে সমালোচনাও করেন তিনি।

নির্বাচনী প্রচারে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার ছবি সংবাদ মাধ্যমে এলেও বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তাকর্মীদের গাড়ির নিচে চাপা পড়া এক তরুণের ছবি সংবাদ সম্মেলনে দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই ছবি তো আপনারা দেখাননি।”

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জনতার রুদ্ররোষেই পড়েছিলেন।

খালেদার জিয়া রাজনৈতিক সমঝোতা চাওয়ার যে কথা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তার প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা বলেন, “নির্বাচনের আগে আমি ফোন করেছিলাম, উনি ছয় ঘণ্টা পর ফোন ধরলেন, উনার যে কথা, আমার এই জীবনে এই রকম মুখ ঝামটা, ঝাড়ি আর খাইনি।

“উনার ছেলে মারা গেল, আমি গেলাম সহানুভূতি জানাতে। আমি গেলাম, আমি নামতে পারলাম না, উনার গেটে তালা। আমাকে ঢুকতে দিল না, ভেতরে অনেক লোকজন ছিল, একটুকু ভদ্রতাও তো দেখায়নি।”

“সবচেয়ে বড় কথা, খালেদা জিয়ার কথা কে বিশ্বাস করবে,” সমঝোতার সম্ভাবনা নাকচ করেন শেখ হাসিনা।

সফর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্মেলন চলাকালীন সময়ে অনেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং আলোচনার সুযোগ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়েও আলোচনা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত আফ্রো-এশিয়ান দ্বিতীয় সম্মেলনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *