দেশজুড়ে
রংপুরে রায়হান হত্যার ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই
হত্যাকান্ডের ২২ দিন পর জড়িত ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) রংপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি দলের বিশেষ অভিযানে।
আজ সোমবার দুপুরে পিবিআই রংপুর জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল্লাহ কাওসার।
তিনি জানান, চলতি বছরের ১৫ অক্টোবর রাতে গংগাচড়া থানার গজঘন্টা গ্রামের আবুহেনা মোস্তফার ছেলে একটি বেসরকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মনি এন্টার প্রাইজের কর্মচারী ইসমাইল হোসেন রায়হান নামের এক যুবক রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় অনেক খোজা খুজির পরদিন সকালে কোতয়ালী থানাধীন সিটি কর্পোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ডের চিলারঝাড় এলাকার ধান ক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। এঘটনায় যুবকের পিতা অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পিবিআই চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলাটির তদন্ত শুরু করে এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত কোতয়ালী থানাধীন হরিরাম গ্রামের আফজাল হোসেনের পুত্র মঈন আহম্মেদ খাজাকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গংগাচড়া ও কোতয়ালী থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জড়িত আসামী সুজন,রানা,ও সুলতান কে গ্রেফতার করে। বন্ধুত্বের সম্পর্ক থেকে মাদক বিষয়ে বিরোধের জেরে ও ব্যবহৃত সাইকেল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে যুবককে হত্যা করে বলে স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃত আসামীরা।
সম্মেলনে জানাযায়,মামলাটির সার্বিক তদারকি করছেন পিবিআই রংপুর জেলা পুলিশ কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওসার এবং তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক মো. লুৎফর রহমান।
মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে ও কিলিং মিশনে অংশ নেয়া অপর পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং হত্যা কান্ডের সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা ব্যাপকভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা মো.লুৎফর রহমান।