দেশজুড়ে
লক্ষ্মীপুরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১, আহত ১, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
রুবেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে তালিকাভূক্ত ডাকাত সর্দার আলমগীর (৩২) নিহত এবং ১৩ মামলার আসামী এরশাদ উল্যা (৩৫) গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় এলজি, তিন রাউন্ড গুলি, চাপাতিসহ ডাকাতির কয়েকটি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পৃথক এ দু’টি ঘটনায় পুলিশের ৮ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত ডাকাত আলমগীর দক্ষিণ রায়পুর গ্রামের মৃত তাজুল ইসলাম ওরফে লেদা মিয়ার ছেলে এবং গুলিবিদ্ধ এরশাদ উল্যা সদর উপজেলার কৃঞ্চনগর গ্রামের আনোয়ার উল্যার ছেলে। এরশাদ পুলিশ পাহারায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার বাম পায়ে হাটুর নিচে গুলির চিহ্ন রয়েছে। আলমগীরের মরদেহ একই হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আলমগীরের বাম পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি চিহ্ন রয়েছে। অপর দিকে আহত হয়, রায়পুর থানা পুলিশের এসআই ফারুক আহমেদসহ চার পুলিশ ও সদর থানার চার পুলিশ সদস্য। আহতরা লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ও রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় দক্ষিন রায়পুর গ্রামে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সংবাদ পেয়ে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে ডাকাতরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে ডাকাত দলের সর্দার আলমগীর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে প্রথমে রায়পুর সরকারি হাসপাতাল ও পরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল নিয়ে চিকিৎসা দিলে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। একই সময় সদরের বিজয়নগরে ডাকাতির প্রস্ততিকালে পুলিশের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে এরশাদ উল্যা পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় এলজি, তিন রাউন্ড গুলি, চাপাতিসহ ডাকাতির কয়েকটি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, ডাকাত আলমগীর নিহত এবং এরশাদ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় ১৩টি মামলার রয়েছে। যার মধ্যে ৫টিতে ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক। পৃথক ঘটনায় পুলিশের ৮ সদস্যও আহত হয়েছে বলে জানায় এ কর্মকর্তা ।