Connect with us

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে অবিরাম বর্ষন ও উজানের ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

Published

on

Kurigram Heavy Rain Fall & Flood Situation photo-21.08.15শাহ্ আলম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : প্রবল বর্ষন ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে প্লাবিত হয়ে পড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার ৫০টি গ্রাম। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেতসহ নদী তীরবর্তী এলাকার ঘর-বাড়ী। গ্রামাঞ্চলের কাচা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। প্রবল বর্ষনের কারনে জেলা শহরে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি ৬৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৭২ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্ট ৯৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার সামান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত ১২ ঘন্টায় কুড়িগ্রামে ২০৭ মিলিমিটার, চিলমারীতে ১৯৮ মিলিমিটার এবং কাউনিয়ায় ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।

এদিকে রৌমারীতেও গত ৩ দিনের টানা ভারী বর্ষনে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আমন ধান, শাকশবজীসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রবল বর্ষন ও স্রোতে ফসলীজমি বাড়িঘরে নদী-ভাঙ্গেনের দেখা দিয়েছে। অপরদিকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় মানুষজন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নদী পাড়াপাড়ের মারাত্মক ভাবে ব্যাহত সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিহগস্তত এলাকাগুলো হচ্ছে ঘুঘুমারী, খেরোয়ারচর, খেদাইমারী, বলদমারা, বাইসপাড়া, গোয়ালেরচর, কুটিরচর, বাইটকারী, বাগুয়ারচর, খনজনমারা সহ প্রায় ৬ হাজার একর ফসলীজমি প্লাবিত হয়েছে ।

পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্রহ্মপুত্র নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গনে প্রায় ১৬টি বাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায। ব্রহ্মপুত্র নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলো হচ্ছে চরশৌলমারী ইউনিয়নের ঘুঘুমারী,খেরোয়ারচর,বন্দবেড় ইউনিয়নের,বলদমারা,বাইসপাড়া এ বিষয় উপজেলা কৃষি অফিসার আজিজল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রাথমিক ভাবে কোন তথ্য দিতে পারেনি।

রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী বলেন, আমি চরশৌলমারী,বন্দবেড় ইউনিয়নের ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছি ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *