Connect with us

খেলাধুলা

ঢাকায় অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল

Published

on

স্টিভেন স্মিথের হাতে ছোট্ট একটা ফুলের তোড়া তুলে দিল একটি শিশু। চাইলে অস্ট্রেলিয়ার এই পুরো বাংলাদেশ সফরের প্রতীক বলেই ধরে নিতে পারেন এই দৃশ্যটাকে। কারণ, অস্ট্রেলিয়া দলকে এমনই ভালোবাসা আর ফুলের আদরে বরণ করে নিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। কঠোর নিরাপত্তার কারণে অস্ট্রেলিয়া দলের ধারেকাছে কেউ পৌঁছাতে না পারলেও এমন ফুলেল অভিবাদনেই বাংলাদেশে পা রাখলো অস্ট্রেলিয়া দল। দীর্ঘ অপেক্ষার পর, প্রায় ১১ বছরের অপেক্ষার পর আবার টেস্ট সিরিজ খেলতে ঢাকা নগরীতে পৌঁছাল স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।

অস্ট্রেলিয়ার এই টেস্ট দলের নেতৃত্বে আছেন তরুণ অলরাউন্ডার স্টিভেন স্মিথ। আর দলটির কোচ হিসেবে আছেন দেশটির এক সময়ের বড় তারকা ব্যাটসম্যান ড্যারেন লেহম্যান।

আইসিসির সফরসূচির (এফটিপি) অধীনে ২০১১ সালে বাংলাদেশে তিনটি ওয়ানডে খেলে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ওই সিরিজে দুটি টেস্ট ম্যাচও ছিল। যা পরে খেলে যাওয়ার কথা দিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। ২০১৫ সালের আগস্টে দুই টেস্ট ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। সফরের দিনক্ষণও চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাতে সেবার শেষ মুহূর্তে সফর স্থগিত করে সিএ। একই কারণে গত বছর যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশে দল পাঠায়নি অস্ট্রেলিয়া।

এরপর অনেক পানি গড়িয়েছে। বাংলাদেশে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। বাংলাদেশে খেলে গেছে ইংল্যান্ডের মতো দেশ। সেই ইংল্যান্ড সফরের সময়ই প্রথম নিজস্ব প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে অস্ট্রেলিয়া অনুধাবন করে যে, বাংলাদেশ নিরাপদ জায়গা। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেয়, দীর্ঘ অপেক্ষার এই সফর করতে আসবে।

বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়া সর্বশেষ টেস্ট খেলতে এসেছিল ২০০৬ সালে। সেবার ফতুল্লায় অল্পের জন্য বাংলাদেশ পায়নি এক ঐতিহাসিক জয়। এবার তেমন কিছুর অপেক্ষায় মুখিয়ে আছে বাংলাদেশ। আর আয়োজকরা প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ নিরাপত্তাবেষ্ঠিত এক আতিথ্য উপহার দিতে।

সিরিজের সর্বশেষ প্রস্তুতি দেখতে সিএ’র অগ্রবর্তী দল গত ১৫ আগস্ট ঢাকায় চলে এসেছেন। সিএ’র দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা শন ক্যারল ও ফ্রাঙ্ক ডেমাসি প্রস্তুতি ম্যাচের ভেন্যু, সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পর্যবেক্ষণ করছেন। এবার চলে এলো পুরো দল। এখন মাঠে খেলা গড়ানোর পালা।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *