ঠাকুরগাঁও
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান: বালিয়াডাঙ্গীতে স্কুলছাত্রী অপহরণ চেষ্টায় আটক ১
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রবিউল উপজেলার বোয়ালধার গ্রামের পয়গাম আলীর ছেলে ও পেশায় রাজমিস্ত্রি।
স্কুলছাত্রী বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের রমজান আলীর মেয়ে ও হলদিবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী।
স্কুলছাত্রী বলেন, প্রমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় গত ৭ মাস যাবত উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বোয়ালধার গ্রামের আজগর আলীর ছেলে ও লোলপুকুর ডিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আল আমিন (১৫) স্কুল ও টিউশনিতে যাতায়াতের সময় রাস্তায় বন্ধুদের নিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি আমার অভিভাবক এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অবগত করেছিলাম। সোমবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ না থাকায় আমি অন্ধকার অবস্থায় বারান্দায় বসেছিলাম। সে সময় আল আমিনসহ আরও ৭ জন বখাটে ছেলে বাড়ীতে ঢুকে আমার হাত ধরে জোর পূর্বক বাহিরে নিয়ে যাওয়ার সময় চিৎকার করি।
স্কুলছাত্রীর দাদা পিয়ার আলী বলেন, আমি বাজার থেকে বারান্দায় বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। স্কুলছাত্রী আমার নাতনির চিৎকার শুনি এবং কয়েকটি ছেলেকে দৌড়ে পালাতে দেখলে আমি ছুটে গিয়ে রবিউলকে বাইসাইকেল সহ আটক করি। বাকিরা সব পালিয়ে যায়।
আটক রবিউল বলেন, আমি হলদিবাড়ী বাজারে আসলে আল-আমিন, রেজাউল, লাবিব, আবু, দেলোয়ার, রাজু, আবু সাইদ আমাকে বন্ধুর বাড়ীতে বেড়াতে যাবে বলে নিয়ে আসে। আমাকে বাইরে রেখে তারা ভিতরে ওই মেয়ের সাথে দেখা করতে যায় এবং কিছুক্ষণ পরে দৌড়ে পালাতে দেখি। আমি ঘটনা বুঝার আগেই আমাকে লোকজন আটক করে।
স্কুলছাত্রীর বাবা রমজান আলী বলেন, কিছুদিন পূর্বে আমি আল-আমিন ও তার বন্ধুদের আমার মেয়েকে উত্যক্ত করতে দেখলে তাদেরকে হাত-পায়ে ধরে উত্যক্ত করতে নিষেধ করি।
ওই ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহেরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শোনার পর আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করে। ভানোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব সরকার ঘটনাস্থলে পৌছানোর পূর্বেই মেয়ের বাবা রমজান আলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ: মান্নানকে জানায়।
পরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ: মান্নান, বালিয়াডাঙ্গী থানার এসআই গাজিউর রহমান, এএসআই রাশেদ সহ ঘটনাস্থলে রাত ১০টার সময় উপস্থিত হয়ে রবিউলকে নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের আটক করে নিয়ে আসেন এবং ভ্রাম্যমান আদালতে তাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে জেল হাজতে পাঠান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ: মান্নান বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত বাকি ৭ জনের বিরুদ্ধে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রবিউল ছাড়া আর কাউকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি।
এ ধরণের ঘটনা যেন পুনরায় না ঘটে এবং গ্রাম অঞ্চলের মেয়েরা যাতে নিরাপত্তার সাথে স্কুল-কলেজে যেতে পারে সেজন্য বিষয়টির সুষ্ট বিচার দাবী করেছেন এলাাকাবাসী।