Connect with us

দেশজুড়ে

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে সরকারী খালে অবৈধ ড্রেজিং হুমকির মুখে ফসলি জমি ও বসতবাড়ী

Published

on

শুভ ঘোষ,মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার তালতলা, গৌরনদী, ডহুরি ও হলদিয়া ইউনিয়নের গোয়ালীমান্দ্রা খালে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট সরকারী খালের মাটি ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা আওয়ামিলীগের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় একাধিক চক্র প্রতিনিয়ত ড্রেজিং করেই চলছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, লৌহজং উপজেলার কোথাও কোন বালু মহালের ইজারা দেওয়া হয়নি। দিনের পর দিন সরকারী খালের মাটি কেটে নিলেও প্রশাসন কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
সরেজমিনে ঐতিহ্যবাহী তালতলা- ডহুরী ও গোয়ালীমান্দ্রা খালে গিয়ে দেখা যায়, কারপাশা গ্রামের লিংকন হালদার ৪টি, মাহবুব ১টি, মৌছামান্দ্রা গ্রামের সোহেল খাঁন ২টি এবং গোয়ালীমান্দ্রা গ্রামের মোশারফ ২, খিদিরপাড়া ইউনিয়নের শাহীনের ২টিসহ প্রায় ১২ টি ড্রেজারের মাধ্যমে সরকারী খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। তাছাড়া রাতের আঁধারে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে খালের বালি ও পার্শবর্তী জমির মাটিও কেটে নিচ্ছে চক্রটি। এতে করে হুমকির মূখে পড়েছে খালের আশপাশ এলাকার ফসলি জমি ও কয়েকটি গ্রামের শতাধিক বসতবাড়ী, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক মুরুব্বি জানান, স্থানীয় আওয়ামিলীগের দুই নেতার প্রভাবে বালু সিন্ডিকেট চক্রটি সরকারী খাল থেকে বালু উত্তোলন ও ফসলি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে। ড্রেজিংয়ের ফলে খালের পাশে থাকা আমার ফসলি জমি হুমকির মুখে রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা। আর একাধিকবার প্রতিবাদ করেও কোন সুফল আসেনি।
খালের পাড়ের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ড্রেজিংয়ের ব্যাপারে একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হলেও এখনও পর্যন্ত কার্যকরী কোন পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।
অবৈধ ড্রেজিংয়ের বিষয়ে জানতে চেয়ে লিংকন হালদার, মাহাবুব, সোহেল খাঁন ও মোশারফসহ পুরো সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। পরে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি। পরে কথা হয় ডহুরি খালে আরেক ড্রেজার মালিক শাহীনের সঙ্গে তিনি জানান, আশে পাশের জমিগুলোর মালিক আমার আতœীয় স্বজন তারা কিছু বলেনা। তাছাড়া আমি খালের ভেতর চ্যানেল করেই বালু উত্তোলন করি। এই খালে যারা ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন ও মাটি কাটে তারা সকলেই আওয়ামীলীগের লোক ।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মনির হোসেন বলেন, খালের উপর ড্রেজিংয়ের বিষয়টি শুনেছি এবং ব্যবস্থা নেওযার জন্য ভূমি কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোহাম্মদ ফজলে আজীম দৈনিক আমার সময় কে জানান, লৌহজংয়ের ডহুরি ও গোয়ালিমান্দ্রা খালের ড্রেজিং বন্ধের জন্য লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *