জাতীয়
শরণার্থী ক্যাম্পে ১৪হাজার রোহিঙ্গা শিশু পিতামাতাহীন!
বাবা-মা হারানো শিশুদের তালিকাভুক্তি কার্যক্রমের সমন্বয় করছেন প্রিতম কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, পিতা-মাতাহীন রোহিঙ্গা শিশুর সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সকল শিশুকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। এসব শিশুকে আলাদাভাবে পুনর্বাসনের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে ২শ’ একর জমি বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আলী হোসেন জানান, পিতা-মাতাহীন শিশুদের সুরক্ষায় যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাদের জন্য ২শ’ একর জমি বরাদ্দসহ প্রয়োজনীয়সংখ্যক আবাসস্থল নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে।
২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে সামরিক জান্তার দমন, নিপীড়ন, জ্বালাও পোড়াও, খুন, জখম, ধর্ষণসহ নির্বিচারে গুলি বর্ষণের ঘটনায় এসব শিশুর বাবা-মার মৃত্যু হয়। পাড়া প্রতিবেশী বা স্বজনদের হাত ধরে তারা বাংলাদেশে চলে এসেছে।
কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, সীমান্তের দুই উপজেলায় স্থানীয়রা এখন সংখ্যালঘু বলে উল্লেখ করেছেন উখিয়া-টেকনাফের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। তিনি বলেছেন, ক্যাম্পে চাকরির ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কারণ এখানকার মানুষ নিজেদের অসুবিধায় ফেলেই নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। এতে স্বাভাবিক চলাফেরাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অধিক মূল্য গুনতে হচ্ছে স্থানীয় অধিবাসীদের। গতকাল রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা নানা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর এক কিলোমিটারের মধ্যে যেসব স্থানীয় মানুষ রয়েছে তাদের ভিজিএফ এর আওতায় আনতে হবে। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য পরিকল্পিত স্যানিটেশন ব্যবস্থা প্রয়োজন। শুষ্ক মৌসুমে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে নানা রোগ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ারুল নাসেরের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) লে. কর্নেল আনোয়ারুল ইসলাম ও কক্সবাজার পৌসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।