রাজনীতি
আগামী নির্বাচনে না এলে বিএনপির অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক নামকরণ ও আইসিইউ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এমপি একথা বলেন। সম্প্রতি সরকার দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নামকরণ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এম আব্দুর রহিমের নামে ঘোষনা করায় বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে তার উদ্বোধন করেন। এর আগে মন্ত্রী মেডিকেল কলেজে ১০ শয্যা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক আইসিইউয়ের উদ্বোধন করেন।
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি, বিএমএ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, হুইপ ইকবালুর রহিম, হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সারওয়ার জাহান, জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হক, মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ কান্তা রায় রিমি, জেলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডাঃ বি কে বোস, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের জেলা সভাপতি ডাঃ শহিদুল ইসলাম খান, এম আব্দুর রহিমের পরিবারের পক্ষ থেকে ২ কন্যা ডাঃ নাদিরা সুলতানা ও নাসিমা সুলতানা এবং মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ শামস।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনে। যতই কথা বলুন দেশ চলবে সংবিধান অনুযায়ী। সংবিধানে সহায়ক সরকারের কোন বিধান নেই। বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ নেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, যদি নির্বাচনে না আসেন তাহলে বাটি চালান দিয়েও বিএনপির অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যাবে না। নির্বাচনের মাঠে নামুন রেফারী নির্বাচন কমিশন যে কোন মূল্যে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করবেন। জনগণ যার পক্ষে রায় দিবেন তিনি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবেন।
বিএনপির দাবী নাকচ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজয় মেনে নিয়েছে। জনগনের রায় মেনে নেয়ার অভিপ্রায় আওয়ামী লীগের আছে। কেউ আসুক বা না আসুক সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য আগামী ৫ বছর ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কলেজ ও হাসপাতালের উর্দ্ধমুখী সম্প্রসারণ, নার্স ও ইন্টার্ণ ডাক্তারদের আবাসন, অডিটোরিয়ামসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়িত করা হবে। জেনারেল হাসপাতালের জন্য ৫ কোটি টাকা নির্মান কাজে ব্যয় করা হবে। তিনি বলেন, সারা দেশে ৪০ হাজার নার্স ও কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হবে। শিঘ্রই ৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হবে। আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।